কিডনি রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের চলমান সংকট নিরসনে আরও তিনটি মেশিন চালু করা হয়েছে। এনিয়ে মোট সাতটি মেশিন সচল রয়েছে হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) থেকে মেশিন তিনটি চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, আমাদের আগে ৪টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু ছিল।
এখন নতুন আরও ৩টি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে মোট ৭টি মেশিন চালু রয়েছে। এ তিনটি মেশিন আগে করোনা রোগীদের জন্য রাখা হয়েছিল। বর্তমানে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় এখন আবারও ওয়ার্ডে যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুপারিশ অনুযায়ী অতি দরিদ্র এবং জরুরি রোগীদের এখানে ডায়ালাইসিস করা হবে। ছয় মাসের ডায়ালাইসিসের জন্য প্রতি রোগীকে দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। এতে করে ৪১৭ টাকার মতো প্রতি ডায়ালাইসিসে ব্যয় হবে।
প্রসঙ্গত, কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীদের প্রতিজনকে মাসে ৮ থেকে ১২ সেশন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যানডর চমেক হাসপাতালে এ সেবা দিয়ে আসছে। প্রতি বছর চট্টগ্রামের জন্য সাড়ে ৬ হাজার সেশন প্রতিষ্ঠানটি ভর্তুকি মূল্যে ডায়ালাইসিস করানোর জন্য চুক্তিবদ্ধ।