রুশ যোদ্ধা গ্রুপ ওয়াগনারে যোগ দিচ্ছে সার্বিয়ার নাগরিকরা। তারা রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। রাশিয়ার একটি সংবাদ চ্যানেলে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমনটাই জানা গেছে। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সার্বিয়ার রাজনীতিতেও। দেশটির নাগরিকদের জন্য অন্য দেশে গিয়ে যুদ্ধ করা নিষিদ্ধ। ফলে চাপে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচও। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
সার্বিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের দারুণ সম্পর্ক থাকলেও দেশটির বাসিন্দাদের বড় একটি অংশই রাশিয়ার সমর্থক। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীনও সার্বিয়ার সমর্থকদের দেখা গেছে স্টেডিয়ামের বাইরে রাশিয়ার পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে। অনলাইনেও রাশিয়ার পক্ষে প্রচারণায় সার্বদের দেখা যায়। কিন্তু সরাসরি রাশিয়ার হয়ে সার্বদের যুদ্ধ করাকে সহজভাবে নিতে পারছেন না অনেক সার্বিয়ার অনেক বাসিন্দা।
ওয়াগনার গ্রুপ এরইমধ্যে সার্বিয়ান ভাষায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
এতে সার্বিয়ানদের রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এ নিয়ে চটেছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ভুচিচ। তিনি টেলিভিশনে প্রকাশিত এক বক্তব্যে ওয়াগনারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, আইনবিরোধী জানার পরেও সার্বিয়ানদের কীভাবে তারা যুদ্ধে যোগ দেয়ার আহ্বান জানায়?
সার্বিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক বেশ নিবিড়। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর যখন ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান দৃঢ় করেছে, তখনও সার্বিয়া রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছে। তাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়ার আকাঙ্খা থাকলেও তারা মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বেলগ্রেড দেখাতে চাইছে যে, তারা একপাক্ষিকভাবে রাশিয়ার পক্ষে নেই। সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ শুধু এই যুদ্ধে নিরপেক্ষই নয়, তিনি নিজেও পুতিনের সঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যে কথা বলেননি।
সার্বিয়ার আইন অনুযায়ী দেশটির নাগরিকরা বিদেশে যুদ্ধ করতে যেতে পারবে না। যদিও রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে যাওয়া সার্বদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকেই ডনবাসে রুশপন্থীদের সঙ্গে মিলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সার্বরা যুদ্ধ করে আসছেন। সার্বিয়া যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকেই রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধের অনুমতি দেয়নি।