বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাইডেন প্রশাসনের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে কথা বলছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েস।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশ পুনর্গঠন এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ও উন্নয়নের পথ তৈরি করে সমগ্র বিশ্বের কাছে আজ বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে।
জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত ও সম্প্রসারণে আগ্রহী ও রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানকে এগিয়ে নিতে তারা বদ্ধপরিকর।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে তাদের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অভিনন্দন জানান।
দূতাবাসের ‘বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান অংশীদার বলে মনে করে। সেই সঙ্গে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
মোহাম্মদ ইমরান বলেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বার্তায় উৎসাহ ও প্রশংসা বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছে। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে অকুণ্ঠ সমর্থন ও অঙ্গীকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি বাংলাদেশের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সিনেটর জে চ্যাপম্যান পিটারসেন, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস, ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, আফরিন আখতার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও জুলিয়েটা নয়েস এবং অন্যান্য অতিথিরা স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।