শান্তি আলোচনার কোনো চেষ্টা না করেই ইউক্রেনকে একতরফা সমর্থনের পথ বেছে নিয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলো। তারা চাইলেই এত দ্রুত যুদ্ধে ‘যোগদান’ থেকে বিরত থাকতে পারতো। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে পশ্চিমাদের এভাবেই দুষলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। তিনি আরও বলেন যে, রাশিয়া ও ইউক্রেন কারও পক্ষেই এই সংঘাত থেকে নিজেদের সকল উদ্দেশ্য হাসিল হওয়া সম্ভব নয়।
খবরে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন লুলা। এসময় তিনি দুই দেশকে শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে শান্তি আলোচনার পরিবর্তে উল্টো সংঘাত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে তা চাইলেই এড়ানো যেত। যুদ্ধের জন্য যথেষ্ট কারণ ছিল না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান ব্যক্ত করেন লুলা। যুদ্ধের জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও দায়ী করেছিলেন।
আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন লুলা দা সিলভা।
চীনও এই যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যুদ্ধে নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করা লুলা দা সিলভা বৃহস্পতিবার শান্তির পথও বাতলে দিয়েছেন। তিনি ক্রাইমিয়াকে আলোচনা থেকে বাদ দেয়ার প্রস্তাব দেন। অর্থাৎ, ক্রাইমিয়া রাশিয়ারই থাকবে। তবে লুলা বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের অন্য অঞ্চলগুলো নিজের করে রাখতে পারেন না।
লুলার ভাষায়, রাশিয়া সবকিছু চাইতে পারে না। তবে ক্রাইমিয়ার বিষয়টি ভিন্ন। কিন্তু তিনি যদি ইউক্রেনের আরও গভীরে অভিযান চালান তাহলে তার আরও ভাবার দরকার আছে। অপরদিকে জেলেনস্কিও সবকিছু চাইতে পারেন না। বিশ্বের এখন শান্তি দরকার। আমাদের যে কোনোভাবেই হোক একটি সমাধান বের করতে হবে।