মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির সভাস্থলে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে ইফতার পার্টি আহ্বান করেছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় দুদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ শনিবার সকালে বিএনপি নেতৃবৃন্দ মাঠে প্যান্ডেল করতে গেলে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিরুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল সুরের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন দলীয় নেতাকর্মী পালরা স্কুল মাঠে অবস্থান নেয়। এ সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির স্থলে আওয়ামী লীগ ইফতার পার্টির ঘোষণা দেন। বিএনপির অভিযোগ আমরা প্রতিবাদ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাদেরকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পালরা মাঠ তো দূরের কথা এই ইউনিয়নের কোথায়ও তারা বিএনপির কোন কর্মসূচি পালন করতে দেবে না। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার।
ঘটনাস্থলে থেকে জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ ও সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক জানান, ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিএনপির কর্মসূচি পালরা স্কুল মাঠে পালন করার কথা ছিল। এজন্য তারা পুলিশ প্রশাসনকে আগেই অবগত করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে প্যান্ডেল করতে যান। এ সময় হঠাৎ করে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী মাঠে অবস্থান নেন। তারা কর্মসূচির স্থলে ইফতার পার্টির ডাক দিয়ে আমাদের কর্মসূচি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এ সময় প্রতিবাদ জানানো হলে তারা উচ্চস্বরে বলে ওঠেন, এই মাঠ তো দূরের কথা ইউনিয়নের কোথাও বিএনপির কোন সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে জানিয়েছে, এটা উপর মহলের নির্দেশ।
বেতিলা-মিতুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, আমরা এই মাঠে পূর্ব নির্ধারিত ইফতার পার্টির ঘোষণা দিয়েছিলাম। তারমধ্যে বিএনপি তাদের অবস্থান কর্মসূচির জায়গা একই মাঠে নির্ধারণ করে। এটা তো হতে পারে না। তাই তাদের বলে দিয়েছি এখানে আমাদের বিকেলে ইফতার পার্টির অনুষ্ঠান হবে। কোন ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া হয়নি।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন লিটন জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির বিষয়টি লিখিত আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়কে লিখিতভাবে অবগত করেছি। তারপরও আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মসূচিকে বাধা দিয়ে পাল্টা কর্মসূচির ডাক দেয়। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাই।