বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নসহ ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গুরুতর আহত এডভোকেট সালাউদ্দিন প্রিন্সকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন মনপুরা উপজেলায় এসে সকালে ডাকবাংলোয় অবস্থান নেয়। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ নয়নসহ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। এসময় ডাকবাংলো থেকে নেতাকর্মীরা হাজিরহাটের উত্তর পাশের রাস্তায় এলে ছাত্রলীগ নেতা সুমন ফরাজী ও যুবলীগ নেতা জাবেদ ফরাজীর নেতৃত্বে হামলা করলে বিএনপির মনপুরা উপজেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন প্রিন্স, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সামসুদ্দিন আহাম্মেদ মোল্লাহসহ ২০ এর অধিক নেতাকর্মী আহত হন। পরে ভোলা সদরে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন নুরুল ইসলাম নয়ন। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে আজকের অবস্থান কর্মসূচির জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সকালে ঢাকা থেকে আমি মনপুরা ডাকবাংলোতে উঠি। সেখানে পুলিশ এসে আমাকে মনপুরা ত্যাগ করতে বলেন। এসময় পুলিশ তাদের প্রোটেকশন দেয়ার কথা বলে বের করে আনলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সামনেই আমাদের উপর দফায় দফায় হামলা করে।
যুবদলের আহ্বায়কের ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমি জীবন বাঁচাতে স্পিডবোটে করে ভোলা সদরে আসছি। এখনো বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মান্নান চেয়ারম্যানেরর বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছেন। তিনি এই ঘটনার নিন্দা, দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে।