মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন যখন আসন্ন তখনই জামায়াত-বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নানান ষড়যন্ত্রের নীলনকশা গুনছে। তাদের এই নীলনকশা লন্ডনে তৈরি হয়েছে।
বিএনপির বহু দুষ্কর্মের নাটের গুরু তারেক জিয়া। আর কোনো দিন দেশে ফিরতে পারবেন না বলেই তিনি এখন দেশকে ধ্বংস করার জন্যই নিয়ত করেছেন।
এই ষড়যন্ত্রকারী বহু অঘটনের খল নায়ক। হাওয়া ভবন থেকে এই ব্যক্তিটি সারাদেশে নানান কুকর্ম একের পর এক ঘটিয়ে যাওয়ার পর যখন বিতারিত হতে বাধ্য হয়েছেন তখনই বিএনপিকে কবরস্থ করার জন্য কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিতে চাইছেন। একথা বিএনপির নিরীহ গোবেচারা নেতা-কর্মীরা না বুঝলেও জনগণ ভালোভাবে বুঝে যে বিএনপি দিন দিন রক্ষকশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের সমর্থনে বায়েজিদ থানার ৭ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের গণসংযোগের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তৃণমূল স্তরের প্রত্যেক নেতাকর্মীর সঙ্গে তার হৃদ্যতা ও সুসম্পর্ক রয়েছে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গেও নিবিড় সখ্যতা রয়েছে। তার এই গ্রহণযোগ্যতার কথা শেখ হাসিনা জানেন বলেই তাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এখন আমার আপনার সকলের কর্তব্য হলো আগামী ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে তার বিজয় সুনিশ্চিত করা।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ বলেন, এই সংসদের মেয়াদ শেষ হতে আর খুব বেশি সময় নেই। যতটুকু সময় আছে তার মধ্যেই আমি জনগণের সকল চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করার চেষ্টা করবো, যদি আমি নির্বাচিত হই। আমার মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো আমার পূর্বসূরী দলীয় সংসদ মোছলেম উদ্দীন আহমেদের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করা। ভবিষ্যতে যদি আবার কখনো সুযোগ পাই তাহলে আমি আমার এলাকাবাসীর জন্য অনেক অনেক স্বপ্ন দেখবো এবং তাদেরকেও স্বপ্ন দেখাবো। আমার এবং তাদের এই স্বপ্নগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে পারি আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সফর আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, রুহুল আমিন মুন্সী, আব্দুর রহিম ও আব্দুল মালেক প্রমুখ।