দীর্ঘদিন খনন না করায় নাটোরের হালতি বিলের বারনই নদীর আটটি অভয়াশ্রমের বেহাল দশা। শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকায় কমে যায় আয়তন। প্রকাশ্যে মা মাছ ধরা হলেও নেই নজরদারি। ব্যবস্থা না নিলে বর্ষায় মাছ শূন্য হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। যদিও নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি মৎস্য বিভাগের।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বারনই নদীর মাছের ৮টি অভয়াশ্রমে পানি স্বল্পতার পাশাপাশি কচুরিপানায় ভরা। শুষ্ক মৌসুমে নদী পানিশূণ্য হয়ে পড়ায় বেহাল দশা এ অভয়াশ্রমগুলোর।
দীর্ঘদিন খনন না করায় ছোট হয়ে হয়েছে মাছের অভয়াশ্রমগুলো। এতে মা মাছ মাছের আবাসস্থলও কমেছে। মা মাছের আবাসস্থল বৃদ্ধির পাশাপাশি অভয়াশ্রমগুলোতে মা মাছ মারা বন্ধ করতে ব্যর্থ মৎস্য বিভাগ। উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের আবাদ বৃদ্ধি করতে মা মাছের পাশাপাশি অভয়াশ্রম রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর।
নলডাঙ্গা উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকার আরশেদ আলী জানান, মৎস্য বিভাগের নজরদারির অভাবে মা মাছগুলো হুমকির মুখে পড়ছে। যদি মৎস্য বিভাগের নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকতো হালতি বিলে আরও বেশি মাছের উৎপাদন হতো।
নলডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, বারনই নদীর এ আটটি অভয়াশ্রমের মা মাছ থেকে উৎপাদিত মাছ বর্ষায় হালতি বিলসহ নলডাঙ্গা উপজেলার প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির উন্মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরও এ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিকটন দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন হয়েছে।
নাটোর জেলা মৎস্য অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অভয়াশ্রমগুলো রক্ষা করতে অভিযান চলছে। এবং অভয়াশ্রমগুলোর আয়তন বৃদ্ধি করতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় মৎস্য বিভাগের দাবি, জেলার ৭টি উপজেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে থেকে গত বছর ২০ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে।