প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব ক্ষেত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ-এ রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে তার সরকার।
২৮ এপ্রিল (শুক্রবার) জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
বাণীতে শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি পালনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এই অদম্য অগ্রযাত্রায় দেশের শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগ জড়িয়ে আছে।’
“শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নীতিমালা ২০১৩’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা নিয়মিত শ্রম পরিদর্শন, শ্রম অভিযোগ নিষ্পত্তি, নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন, দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতকরণ ও সেফটি কমিটি গঠন করেছি,” যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমরা শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন এবং মহিলা শ্রমজীবী হোস্টেল নির্মাণ করেছি। শ্রমিকদের চিকিৎসায়, তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাকবলিত শ্রমিক পরিবারকে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে নিয়মিতভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।’
কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহায়তায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তখন টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছি। আমাদের সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ ও উদ্যোগের ফলে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও জীবনমানের উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প শ্রমিক মজুরি কমিশন গঠন, বিভিন্ন সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, শ্রম পরিদফতর পুনর্গঠন, জাতীয় শ্রম উপদেষ্টা বোর্ড গঠনসহ ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি মে দিবস পালনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন এবং সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন। জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আইএলওর সদস্যপদও লাভ করে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য–‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী ও যথার্থ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।