নিউজিল্যান্ডের রাজধানী শহর ওয়েলিংটনে একটি পেঙ্গুইনের এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে এই প্রথম। ওয়েইমাউথের সি লাইফ-এ বসবাসকারী ‘চাকা’ নামের পেঙ্গুইনটির ভারসাম্যের সমস্যা ছিল। চাকার চলাফেরায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এই সমস্যা স্নায়ুজনিত কোনও কারণে কি-না জানার জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ পেঙ্গুইনটির চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন। তার ভারসাম্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এমআরআই স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এর জন্য চাকাকে গুহা ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেখানে বিশেষজ্ঞদের একটি দল আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো। বিষয়টি তাদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন হলেও টিমটি নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল যে চাকার স্ক্যান যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি-না। তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
স্ক্যানের পর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন চাকা মোটামুটি সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনযাপন করে আর পাঁচটা পেঙ্গুইনের সঙ্গে দিব্যি মিলেমিশে থাকতে পারবে। তাই এক্ষেত্রে চিন্তার কোনও কারণ নেই। অ্যাডভেঞ্চার পার্কটি আরও বলেছে যে এই স্ক্যানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো কারণ পেঙ্গুইন প্রজাতি সম্পর্কে আরো কিছু জানতে এটি সহায়তা করবে। এই প্রক্রিয়াটি সফল হলে বিশ্বের অন্যান্য পশুচিকিৎসক, চিড়িয়াখানা, অ্যাকোয়ারিয়াম এবং অভয়ারণ্যগুলিতেও স্ক্যানের মাধ্যমে পশুদের রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হবে। চাকা হয়ে উঠে পেঙ্গুইনদের পথপ্রদর্শক। যদিও তার নিজের চালচলন এখনও কিছুটা নড়বড়ে। তবে সে পশুচিকিৎসা বিজ্ঞান এবং পেঙ্গুইন জগতের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষার দরজা খুলে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন সি লাইফ-এর কিউরেটর কিকো ইরাওলা।