শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির দায়ে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি করায় পৃথক দুই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মো. সিরাজুদ্দৌলাহ কতুবী এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নগরের চান্দগাঁও থানার ফরিদার পাড়ার ফাহিম হোসেন (২১), একই থানার নাজির পাড়ার নুরুল আবেদীন রাব্বী (৩২), একই থানার গোলম আল নাজির পাড়ার মো.মফিজুর রহমান রিপন (২৩), বোয়ালখালী থানার পশ্চিম গুমদণ্ডীর মো. ইমরান হোসেন (২০) ও কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটার মো. আবু বক্কর (২৪)।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নগরের কর্ণফুলী এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে নগরের আছাদগঞ্জ ছোবহানিয়া আলীয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম হেলাল যাওয়ার পথে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর অপহরণ করা হয়। পরে তাকে সিএনজি অটোরিকশায় করে নগরের চান্দগাঁও এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ফোন করে তার মায়ের কাছে অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি কর্ণফুলী থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ অভিযান শুরু করে। নগরের চান্দগাঁও এলাকা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন পাচঁজনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৮ সালের ২০ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালতে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম বলেন, শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুটি ধারায় পাচঁজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ মাস সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে।