অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ, অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। শুরুতে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে দ্রুত প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সাধারণত শরীরে খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে ফ্যাটি লিভার হানা দেয়। ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভালো করে বের হতে পারে না। তাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকা বদলে ফেলতে হবে।
নারী-পুরুষ সবাই-ই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভারের লক্ষণগুলোকে সাধারণ মনে করে এড়িয়ে যান। যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ লিভার শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করে।
ফ্যাটি লিভারের লক্ষণসমূহ
প্রস্রাবের রং অতিরিক্ত মাত্রায় গাঢ় হলুদ হয়ে যায়।
অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠা কিংবা অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়াও ত্বকে ছোপ ধরা বা গলার কাছের ত্বকের স্বাভাবিক রং পাল্টে যায়।
মাঝে মধ্যেই পেটে ব্যথা হয়।
এসময় শরীরের পেশী ক্ষয় হতে থাকে। এর সঙ্গেই হাতের শিরা জেগে ওঠা বা বেরিয়ে আসা, চেহারায় বয়স্ক ভাব লক্ষ্য করলে লিভার পরীক্ষা করিয়ে নিন।
পেটের মেদ বা ভুঁড়ি যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে; তাহলে অবশ্যই লিভারের পরীক্ষা করিয়ে নিন।
বেশির ভাগ লিভারের অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ হলো ডিহাইড্রেশন। এসময় পেট খালি লাগে ও ঘন ঘন পিপাসা পায়।
এই লক্ষণগুলো খেয়াল করলেই লিভার পরীক্ষা করিয়ে নিন।
ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ খিদে বেড়ে গেলে ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে।
হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে সতর্ক থাকুন।
প্রতিরোধ
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
পানির মধ্যে অল্প পিঙ্ক সল্ট বা লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে খুব ভালো হয়।
কাঁচা হলুদের কারকিউমিনও লিভার সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকর।
লিভার সুস্থ রাখতে ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি-জাতীয় খাবারও খেতে পারেন।
লেখক: অধ্যাপক ও ডিভিশন প্রধান, ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আঞ্চলিক পরামর্শক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চেম্বার: ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা।
হটলাইন-১০৬০৬