শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক নগরীর ষোলশহর (২ নং গেইট) বিপ্লব উদ্যানে শহীদ জিয়ার নামফলকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কালি দিয়ে মুছে দেওয়ার প্রতিবাদে আজ ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভাপতির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শহীদ জিয়াউর রহমান ও বিএনপি পরিবার নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য শহীদ জিয়াকে দেওয়া বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে এবং কাজীর দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম মুছে ফেলার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে। এখন আবার নতুন করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নের স্মৃতিবিজড়িত ষোলশহরস্থ ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানের নামফলক কালী দিয়ে মুছে দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর অতর্কিত হামলায় এক অনিশ্চয়তার মধ্যে শহীদ জিয়া এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যান থেকেই পাক বাহীনির বিরুদ্ধে “উই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন। অষ্টম ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে প্রতিরোধের মশাল জালিয়েছিলেন। এই চট্টগ্রামের মাটিতে জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেছেন এবং সার্কিট হাউসে মিশে আছে শহীদ জিয়ার রক্ত। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে চট্টগ্রামবাসী তার কঠোর জবাব দিবে। তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানসহ সারাদেশে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার এর নাম মুছে দিচ্ছে। নামফলক থেকে মুছে দিলেও দেশের কোটি বাঙালির হৃদয় থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না। স্বাধীনতার ঘোষক বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছেন। মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, শহীদ জিয়ার নাম এদেশের ১৮ কোটি মানুষের মনের মণি কোঠায় স্থান করে নিয়েছে। কোন অপশক্তি শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেললেও মানুষের মন থেকে মুছে যাবে না। দিপ্তী বলেন, ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষণা করেছিলেন উই রিভোল্ট। এই ঐতিহাসিক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ সূচনা হয়েছিল আমাদের নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষণা করেছিলেন চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আমি মেজর জিয়া বলছি। দুষ্কৃতকারীদের সময় ফুরিয়ে আসছে, পরে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ফলক থেকে কালি অপসারণ করেন এবং দুষ্কৃতকারীদের শাস্তির দাবী জানান। এতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মোহাম্মদ আলী সাকী, নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নূর নবী মহরম, নগর যুবদলের সহ সম্পাদক হামিদুল হক, আনোয়ার হোসেন আনু, ইব্রাহিম খান, মোর্শেদ কামাল, ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন মহসিন, আব্বাস উদ্দিন রিপন, থানা যুবদলের শাহাদাত হোসেন খান পারভেজ, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক জহিরুল ইসলাম জহির, মোঃ মাসুদ, মনাসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জিয়াউর রহমানের নামফলক মুছে দেয়ার প্রতিবাদে যুবদল ও ছাত্রদলের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন


