চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বুধবারের পদযাত্রা কর্মসূচিতে চট্টগ্রামবাসী দেখিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম বিএনপির ঘাঁটি। সেদিন লক্ষ লক্ষ জনতার জোয়ার দেখে আওয়ামীলীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এটা আওয়ামী লীগের সহ্য হয়নি। তাই তারা চট্টগ্রামকে অশান্ত করার জন্য বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্য বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে কোন লাভ হবে না। এক লক্ষ মামলা, ছয়শত নেতাকর্মীকে গুম ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিচার বহির্ভূত হত্যা করেছে। কিন্তু বিএনপিকে কি দমাতে পেরেছেন? বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন রোদে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়ে গেছে। মামলা দিয়ে ভয় দেখিয়ে নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে সরে রাখা যাবে না। তিনি শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপি অফিসে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বুধবার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যখন লালখান বাজার থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপির অফিসের দিকে হামলা করতে আসছিল, তখন পুলিশও তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য এসেছিল। কিন্তু এত বড় কোতোয়ালি থানার পুলিশ থাকতে এই সামান্য সন্ত্রাসীদের রুখতে পারলেন না? ভিডিও ফুটেজে দেখেছি পুলিশকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে বিএনপি অফিসে ঢুকে সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে। আগুন লাগিয়ে ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। সেদিন এই সন্ত্রাসীদের সামনে পুলিশের অসহায়ত্ব আমরা দেখেছি। অপরাধী যেই হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা আপনাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা বলতে চাই, আপনারা নির্ভয়ে কাজ করেন। উপরের নির্দেশ শুনবেন না। সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আপনাদের তো সময় আছে। আপনাদেরকে তো চাকুরী করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে আপনারা ভালোভাবে চাকরি করতে পারবেন। আমরা আশা করবো, আমাদের পক্ষ থেকে যে মামলা নিয়ে থানায় যাওয়া হয়েছে, সে মামলা আপনারা গ্রহণ করবেন। সবাইকে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসতে হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে মামলা দায়েরের ঘটনা নিত্য ঘটছে। কিন্তু হামলা মামলার মাধ্যমে বিএনপিকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। বিএনপি কোন সময় আপোস করেনি। এসব বানোয়াট মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে পারবে না। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, বুধবারের পদযাত্রা কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে আমরা দারুল ফজল মার্কেট ও নিউমার্কেট সংলগ্ন আওয়ামী লীগের অফিসের পাশ দিয়ে গেছি কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীরা ঐদিকে মুখ ফিরেও তাকায়নি। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমরা যখন অফিসে ছিলাম না তখন এসে চোরের মত হামলা করে চলে গেছে।এই ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে করা মামলা না নিয়ে উল্টো আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ বাদী হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বিএনপির নেতা কর্মীরা এখন মামলাকে ভয় করে না। আওয়ামী লীগ দেশকে এখন মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। দেশে কোন আইন নাই। তা না হলে পুলিশের সামনে কেমনে বিএনপি অফিসে হামলা করতে পারে? বিএনপি অফিসে কারা কারা হামলা করেছে আমাদের কাছে তালিকা আছে। সূর্য ডোবার সময় লাল হয়ে যায়, আওয়ামী লীগ এখন সেই ডুবন্ত সূর্য। বিএনপির এক দফার পদযাত্রা বিজয় যাত্রায় পরিণত হবে ইনশাল্লাহ। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি অফিসে সেদিন পৈশাচিক তান্ডব চালিয়েছে। তারা মানুষের অধিকার হরণ করেছে। তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করি না। আওয়ামী লীগ এখন জনগণ ও বিদেশিদের চাপে দিশেহারা। তারা আবোল তাবোল বকছে। এসব করে শেষ রক্ষা হবে না। চলে যেতেই হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো, কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, নুর মোহাম্মদ, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
মামলা দিয়ে বিএনপিকে আন্দোলন থেকে দূরে সরে রাখা যাবে না

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন