পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং
যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাম প্রকাশ করে না। নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু ‘ডিজাইনেটেড’ কর্মকর্তাদের বিষয় জানায়। নীতির অধীনে তাদের নাম প্রকাশ করে না। কম্বোডিয়ার একতরফা নির্বাচন ইস্যুতে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ইস্যুতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ২৪শে মের নতুন ভিসা নীতি তুলে ধরেন। বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে যে-ই বাধাগ্রস্ত করবে তার বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মুক্তভাবে সবার দায়িত্ব চর্চায় আমরা সমর্থন করি। মানবাধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যেকোন বিষয়ের বিরোধিতা করি আমরা। ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র কোনো অবস্থান নেয় না। তবে আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এবং সারাবিশ্বের সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এ সময় একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে। তিনি বলেন, আগেই এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ অবস্থায় অসাংবিধানিক নির্বাচনকালীন সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি- এমন অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের। এর প্রেক্ষিতে আপনার পর্যবেক্ষণ কি? এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার উপরের ওই মন্তব্য করেন।
ম্যাথিউ মিলারকে আবার প্রশ্ন করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, নিজের আরও স্বার্থ হাসিলের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু দেশের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করতে মানবাধিকারের ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত, সৌদি আরব, ইসরাইল ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র চোখ বন্ধ করে রাখে বলে যুক্তিতর্ক আছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?
ম্যাথিউ মিলার উত্তরে বলেন, আমি বলবো দুটি প্রশ্নের ভিতরে কিছু উত্তেজনা আছে বলে আমি দেখতে পাচ্ছি। আমি নজরে নেবো এবং বলবো যে- যখন মানবাধির নিয়ে উদ্বেগজনক অবস্থা দেখি, তখন আমরা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করি। যখন আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখি তখন কোনো দেশের সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব, কোনো অংশীদারের সঙ্গে তার চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করি। এটাকে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং বলব।