কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে সারাবিশ্বে চলছে হৈ চৈ। মানুষের কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে জীবনের সার্বিক দিকে হুমকির কারণ হয়ে উঠছে এই প্রযুক্তি। এমন প্রেক্ষাপটে মানবপ্রজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এর থেকে রেহাই পেতে কত রকম আলোচনা-সমালোচনা বিশ্বজুড়ে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এমন ঝুঁকি কমাতে এ সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাত কোম্পানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে খোদ হোয়াইট হাউস।
শুক্রবার (২১ জুলাই) হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় অ্যামাজন, অ্যানথ্রপিক, গুগল, ইনফ্লেকশন, মেটা, মাইক্রোসফট ও ওপেনএআই-এই সাত কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি এড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবে বলে এক চুক্তি সাক্ষর করেন।
সাক্ষরিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, নতুন কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম প্রকাশের আগেই অভ্যন্তরীণ ও বাইরের বিশেষজ্ঞ দ্বারা এর নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো পরীক্ষা করা হবে। কোনো ফিচারের ক্ষেত্রে বা এআইয়ের তৈরি কনটেন্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াটার মার্ক যুক্ত করতে হবে, যাতে একজন ব্যবহারকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারে।
এ ছাড়া কোম্পানিগুলোকে তাদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা সাধারণ মানুষের কাছে নিয়মিত প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে।
পাশাপাশি কোম্পানিগুলোর বানানো এআই পণ্য -পক্ষপাতিত্ব, বৈষম্য ও গোপনীয়তার মতো বিষয়ে কোনো ঝুঁকি তৈরি করছে কী না, তা নিয়ে গবেষণা চলমান রাখতে হবে।
এসব নিয়ম কানুন কেবল যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একটি কাঠামো গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর বাইডেন প্রশাসন।