আগামী ৩১শে জুলাইয়ের পর বাজারে আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ১লা আগস্ট থেকে অভিযানে নামবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ অভিযানের কথা জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, আইন অনুসারে আগামী ১লা আগস্ট থেকে প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করতে হবে, খোলা তেল বিক্রি করা যাবে না। আমরা খোলা তেল বিক্রি বন্ধে মাঠে নামবো। সারা দেশে একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানে ভোক্তা অধিকারকে সহযোগিতা করবে জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ইআরএফ আয়োজিত কর্মশালায় এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।
সফিকুজ্জামান বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির বিষয়ে অধিদপ্তর কর্তৃক অতিসত্বর তদারকি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ভোজ্য তেল রিফাইনারিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। সেজন্য আমরা যৌথ উদ্যোগে রিফাইনারিগুলোসহ অংশীজনদের নিয়ে সচেতনামূলক সভা আয়োজন করতে পারি।
মহাপরিচালক ভোক্তার নিকট গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য বিশেষত ভোজ্য তেলের মান নিশ্চিত করা এবং খোলা সয়াবিন তেল বিপণন এবং বিক্রয় পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার লক্ষ্যে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় জানানো হয়, খোলা ভোজ্য তেলে নির্ধারিত মান অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও খোলা তেলের ক্ষেত্রে ফুড গ্রেড কনটেইনার না হওয়ায় তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং রিফাইনিং প্রসেসে ব্লিচিং করে তেলের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমেও এর গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বর্ণিত সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা চায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।