ঠিক একমাসের ব্যবধানে দেশে একদিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে এ বছর ২ হাজার ৯৫৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার রেকর্ড ছিল ১০ই আগস্ট। দিন যত যাচ্ছে, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল ততই দীর্ঘ হচ্ছে। ঢাকার বাইরেই ডেঙ্গুর দাপট বেশি। প্রতিদিন রাজধানীর চেয়ে ঢাকার বাইরে দ্বিগুণ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। একদিনে আরও ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ১০ দিনে মারা গেছেন ১৩৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত ৭৩০ জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে রাজধানীতে ৬৭ হাজার ৫৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮১ হাজার ২৬৯ জন। মৃত ৭৩০ জনের মধ্যে নারী ৪২৪ জন এবং পুরুষ ৩০৬ জন।
মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ২০৯ জন এবং রাজধানীতে ৫২১ জন।
ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে গতকাল বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৯৯৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯৯৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৯৯৯ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৯৯৩ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ২৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৫৭৪ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৯১ হাজার ৫৪৭ জন এবং নারী ৫৬ হাজার ৭২১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৭ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরের ১০ দিনে শনাক্ত রোগী ২৪ হাজার ৫২০ জন এবং মারা গেছেন ১৩৭ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।