দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এইচ এম রাশেদ খান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশ ও জাতির প্রতি অসামান্য অবদান রেখেছেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণ করে সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি নিরলস ভূমিকা পালন করেন। শোক-দুঃখ-বেদনায় তিনি জনগণকে ছেড়ে যাননি, জনগণের পাশে থেকেছেন। গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোন অপশক্তির কাছে তিনি মাথা নত করেননি। বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ হয়েও সরকার তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসায় বাধা দিচ্ছে। ফাঁসির আসামিসহ দন্ডিত আসামি মুক্ত হলেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের তালবাহানা ও দানবীয় আচরণ প্রমাণ করে সরকার চাইনা তিনি সুস্থ হন। কারণ তিনি সুস্থ হলে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন,ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এই অবৈধ , দুর্নীতিবাজ সরকারের হাতে দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়। তাই তিনি দেশ ও মানুষ বাচাঁনোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। অবিলম্বে দেশনেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের সুযোগ দেওয়া হোক। অন্যথায় যেকোন অঘটনের দায় সরকারকে নিতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আজ ১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বাদে আসর নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা সহ দেশবাসীর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হলেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সারাবিশ্বের গণতন্ত্রের প্রতীক ও মজলুম নেত্রী এবং গণতন্ত্রের জন্য জীবন্ত কিংবদন্তি। এই ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনীতি থেকে তাঁকে মাইনাস করে দেয়ার অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে এদেশের মানুষের সাথেই তিনি নিজের ভাগ্যকে মিলিয়ে নিয়েছেন। গণতন্ত্রের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম আজোবধি অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রিয়নেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং অবিলম্বে সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে প্রেরণের জোর দাবি জানাচ্ছি। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে শরিক হন চট্টগ্রাাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, মামুনুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, এম এ হানিফ, আব্দুল মান্নান আলমগীর, এমদাদুল হোসেন স্বপন, মোখলেছুর রহমান, মাহাবুব খালেদ, মো. আলমগীর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম দিপু, শাহজাহান বাদশা, মানবাধিকার সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-দফতর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ পাটোওয়ারী, সহ-পরিবার বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন মিশু, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোঃ পারভেজ, বায়েজীদ থানা আহবায়ক মো. আলতাফ হোসেন, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজিদ হাসান রনি, আকবর শাহ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগ, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুজ্জামান শহীদ, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরমান শুভ, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিউদ্দিন রুবেল, মো. শাহালম, আব্দুর রশিদ টিটু, মো. রবিন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ আবিদ, মো. পারভেজ, জহুরুল ইসলাম জহির, মো. জসিম উদ্দিন, মো. নওশাদ, কামাল হোসেন খোকন, নাজিম উদ্দিন, মো. রুবেল, সাইদ ইসলাম বাপ্পী প্রমুখ।