চোট সারিয়ে মাঠে ফিরলেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামি-এফসি সিনসিনাটি ম্যাচে নামলেন বদলি হিসেবে। অধিনায়কের প্রত্যাবর্তনেও হার ঠেকাতে পারেনি ‘পিংক লেড’রা। আজ ভোরে ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে মেজর লীগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে সিনসিনাটির কাছে ১-০ গোলে হারে স্বাগতিক মায়ামি। এতে এমএলএস কাপের প্লে-অফ খেলার স্বপ্ন চূর্ণ হয় হেরনদের।
গত ২১শে সেপ্টেম্বর টরন্টো এফসির মুখোমুখি হয় ইন্টার মায়ামি। সেই ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। এরপর ইন্টার মায়ামির শেষ চার ম্যাচ খেলতে পারেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। অবশেষে ১৮ দিন পর মাঠে ফিরলেন মেসি। আজ সিনসিনাটির বিপক্ষে ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামের আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। তাতে লাভ হয়নি মায়ামির।
৭৮তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে দলটি। সিনসিনাটির হয়ে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার আলভারো বারেল।
দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মোট ২৯টি দল এমএলএসের একেকটি মৌসুমে অংশ নেয়। ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৫ দল, ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে ১৪ দল। দুই বিভাগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৯ দল (মোট ১৮ দল) এমএলএস কাপের প্লে-অফের জন্য কোয়ালিফাই করে। প্রত্যেক বিভাগের শীর্ষ ৭ দল সরাসরি প্লে-অফ খেলে। আর অষ্টম এবং নবম দল ওয়াইল্ড কার্ড ম্যাচ খেলে জায়গা করে নেয় মূল পর্বে। ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের প্রত্যেক দল এক মৌসুমে ৩৪টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়।
৩২ ম্যাচে ৯ জয় ও ১৭ হারে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্স টেবিলের ১৪তম স্থানে ইন্টার মায়ামি। মৌসুমের বাকি দুই ম্যাচ। এতে শতভাগ জয় পেলেও এমএলএস কাপের প্লে-অফ খেলতে পারবে না মেসির মায়ামি। কেননা টেবিলের ৯ম স্থানে থাকা ডিসি ইউনাইটেড ৩৪ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট অর্জন করেছে। বাকি দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেলে ইন্টার মায়ামির পয়েন্ট হবে ৩৯।


