বহু বছর থেকে দাবি ছিল দেশে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হোক। অবশেষে বাংলাদেশে মোটরসাইকেলে সিসি বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। এখন থেকে ৩৭৫ সিসির মোটরসাইকেল নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) পাবে। বুধবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
তবে শর্ত হলো, এই ৩৭৫ সিসি মোটরসাইকেল অবশ্যই দেশে উৎপাদিত হতে হবে- তবেই পাওয়া যাবে রেজিস্ট্রেশন। আমদানি করা মোটরসাইকেলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
সড়ক পরিবহন বিভাগের উপসচিব মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৬৫ সিসির পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা যাবে’।
মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সিলিন্ডারে জ্বালানি ধারণের জন্য কত ঘন সেন্টিমিটার বা কিউবিক সেন্টিমিটার (সিসি) জায়গা রয়েছে তা নির্দেশ করে। উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভালো থাকায় বরং, তা অধিক নিরাপদ। ফলে বিশ্বের বহু দেশে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি রয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ সরকার মনে করে, উচ্চ সিসি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে চলে, অপরাধীরা তা ব্যবহার করে দ্রুত পালিয়ে যাবে। ফলে সরকার মোটরাসাইকেলের সিসি নিয়ন্ত্রণ করেছিল। যদিও সিসির সঙ্গে মোটরসাইকেলের গতির সম্পর্ক নেই।
গত সেপ্টেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দেয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে, দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইফাদের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদন করবে রয়েল এনফিল্ড। ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি। যদিও আগামী বছরের জুলাই মাসের আগে রয়েল এনফিল্ডের মতো ব্র্যান্ড বাজারে আসছে না। একইসাথে উত্তরা মোটরসের সঙ্গে যৌথভাবে বাজাজও বাংলাদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। জাপানের কাওয়াসাকি বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে গত বছরের ডিসেম্বরে সিসি সীমা ২৫০ তে উন্নীত করার আবেদন জানায়।