ড্রাই ফ্রুটসকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি মূল্যবান উৎস মনে করা হয়। ড্রাই ফ্রুটস হজমশক্তি বাড়ায়। এ কারণে পুষ্টিবিদরা মনে করেন, আমাদের প্রতিদিনের খাবারের একটি অংশে ড্রাই ফ্রুটস রাখা উচিত। যেন হালকা ক্ষুধা লাগলে তা নিবারণের জন্য ড্রাই ফ্রুটসের ওপর নির্ভর করাই যায়। কেননা, এটি পেট ভরায় ও ক্ষতিকরও নয়।
সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন ড্রাই ফ্রুটস খেলে কার্ডিওমেটাবলিক হেলথ ভালো থাকে, পাশাপাশি পেটও ভালো থাকে। এ ছাড়া ড্রাই ফ্রুটসে আখরোট, বাদাম, কিশমিশ বা খেজুরের মতো উপাদান থাকে, যা শরীরে অন্যান্য উপকারও করে। ড্রাই ফ্রুট ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসে ভরপুর। তাই এটি প্রতিদিনের ডায়েটে থাকলে ডায়াবেটিস ও ওবেসিটির মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ড্রাই ফ্রুট অন্ত্রের সমস্যা বা ক্যানসারের মতো রোগ থেকে দূরে রাখে। চলুন জেনে নিই কী উপায়ে ড্রাই ফ্রুটস খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়–
নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন
সব ধরনের খাবারের ক্ষেত্রেই সময় গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি খাওয়ার সঠিক সময় বেছে নিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের বেলা শুকনো ফল খাওয়া উচিত। মূলত তারা সকাল ও দুপুরের আগে এটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অবশ্যই গভীর রাতে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ, এটি হজম ব্যাহত করতে পারে। তাই ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন।
ভিজিয়ে রাখুন
হজমক্ষমতা বাড়াতে আপনি সারা রাত ড্রাই ফ্রুটস ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খান। এতে এটি নরম হয় এবং হজম সহজ হয়। এ ছাড়া ভেজানো ড্রাই ফ্রুটস খেলে স্বাস্থ্য-উপকারিতা তো পাবেনই, এটি খেতেও সুস্বাদু লাগে।
অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খান
আমরা অনেক সময় ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে থাকি। এতে বাড়তি টেস্ট ও পুষ্টি দুটোই একসঙ্গে পাওয়া যায়। যেমন: এক চিমটি জাফরান ও একটি খেজুরের সঙ্গে ভেজানো বাদাম মিশিয়ে খান। এটি শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
পরিমিত খান
ড্রাই ফ্রুটস পুষ্টিকর হলেও তা পরিমিত খাওয়া উটিত। মূলত যে কোনো ধরনের খাবারই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত গ্রহণে তা শরীরের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে।