অভিনেত্রী মেহরিন পীরজাদা, যিনি সম্প্রতি দিল্লির সুলতানের সঙ্গে তার ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিষয় তুলে ধরেন। এবং মিলান লুথ্রিয়ার শোতে তার বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টিকেও ‘যৌন দৃশ্য’ বলে অভিহিত করার জন্য ট্রোলারদের নিন্দা করেছেন। তিনি লিখেছেন, সম্প্রতি আমি ডিজনি হটস্টারে ওয়েব সিরিজ ‘দিল্লির সুলতান’-এর মাধ্যমে ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ করেছি। আশা করি আমার ভক্তেরা সিরিজটি উপভোগ করেছেন। কখনও কখনও চিত্রনাট্যগুলো এমন কিছু কাজের দাবি করে, যা আপনার নিজের নৈতিকতার বিরুদ্ধে। একজন পেশাদার অভিনেতা হিসাবে যিনি অভিনয়কে একটি শিল্প এবং একইসঙ্গে একটি কাজ বলে মনে করেন তার জন্য নানা ধরণের অভিনয়ই করতে হয়। একজনকে এমন কিছু দৃশ্য তৈরি করতে হবে যেগুলো গল্পের বর্ণনার অংশ হলেও মনোরম নয়।
তিনি বলেন, দিল্লির সুলতানে একটি দৃশ্য ছিল যা একটি নৃশংস বৈবাহিক ধর্ষণকে চিত্রিত করেছিল। এটা দেখে আমি বেদনাদায়ক যে বৈবাহিক ধর্ষণের মতো একটি গুরুতর বিষয়কে মিডিয়াতে অনেকেই আপত্তিকর দৃশ্য বলে বর্ণনা করেছেন। সমালোচনা করছেন।
এটি এমন কিছুকে তুলে ধরে যা একটি গুরুতর সমস্যা। যা বিশ্বের অনেক মহিলা বর্তমানে মোকাবিলা করছে। এটা আমাকে বিরক্ত করে তোলে যে মিডিয়ার একটি নির্দিষ্ট অংশ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার লোকেরা এটিকে বেছে নিয়েছে। এবং এই লোকেদের বোঝা উচিত যে তাদেরও বোন এবং কন্যা রয়েছে। এবং আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে তাদের যেন নিজের জীবনে কখনও এমন মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে না হয়। নারীর প্রতি এ ধরনের বর্বরতা ও সহিংসতা ও চিন্তা বিরোধী।
অভিনেত্রী আরও বলেন, একজন অভিনেত্রী হিসাবে আমার কাজ হল চরিত্রের প্রতি সুবিচার করা এবং মিলান লুথরিয়া স্যারের পরিচালনায় দিল্লির সুলতানের টিম অত্যন্ত পেশাদার। আমরা অভিনেতা হিসাবে কিছু খুব কঠিন দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় কোনও ক্ষেত্রেই অস্বস্তিকর বা উন্মুক্ত না হই তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত পেশাদার ছিলাম। আমি আশা করি একজন শিল্পী হিসেবে আমার দর্শকদের জন্য প্রতিটি চরিত্রে আমার সেরাটা দিতে পারব। তা সে মহালক্ষ্মী, সঞ্জনা বা মধু যেকোনও চরিত্রেই হোক। আপনাদের সকলের জন্য শান্তি ও ভালোবাসা।