দীর্ঘসময় সংরক্ষণ করার জন্য অনেকেরই ডিম ফ্রিজে রাখার অভ্যাস আছে। আপনিও কি তাদের দলে? তাহলে আজকের আয়োজন শুধু আপনার জন্য।
দেহের প্রোটিন আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ মেটাতে সহজলভ্য ডিমের জুরি মেলা ভার। অন্য খাবারের তুলনায় এর দাম কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত আর গরিবদের প্রতিদিনের খাবারে স্থান পায় ডিম। এ ডিম বাজার থেকে এনে প্রায়ই আমরা ফ্রিজে সংরক্ষণ করছি। কিন্তু তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা ডিম ফ্রিজে সংরক্ষণ করাটা মোটেও উচিত নয়। এ বিষয়ে সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্রিটেনের নামী শেফ জেমস মার্টিন। তিনি বলেন, ফ্রিজে ডিম রাখা হলে অন্য খাবারের গন্ধ এর সঙ্গে মিশে যায়। ফলে ডিমের স্বাভাবিক স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে যায়। এ ছাড়া ফ্রিজে ডিম রাখলে তা কখনও সুসিদ্ধ হয় না।
দুটি কাচা ডিম দিয়ে বাসায় পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। একটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আর অন্যটি সংরক্ষণ করুন ফ্রিজে। একদিন পর যখন তা সিদ্ধ করবেন তখন আপনি নিজেই লক্ষ্য করবেন যে ফ্রিজে ডিম রাখার তুলনায় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা ডিমটি ভালো সিদ্ধ হয়েছে। খাওয়ার সময়ও দুটি ডিমের স্বাদের পার্থক্য আপনি অনুভব করতে পারবেন।
একটি ডিমে প্রায় ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে যা শরীরের মাসল ও টিস্যুর শক্তি ও মেরামতির জন্য যথেষ্ট। ভালো কোলেস্টেরল বলে পরিচিত এইচডিএল-এর মাত্রাও বাড়াতে সাহায্য করে এ ডিম। এটি প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। তাই ডিমের সব পুষ্টি উপাদানগুলো অক্ষুণ্ন রাখতে ফ্রিজে ডিম না সংরক্ষণ করাটাই ভালো।
গরমের সময় ডিম পচে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই ওই সময় ফ্রিজে ডিম সংরক্ষণ করাটা নিরাপদ বলে মনে করলেও শীতের সময়টা কিন্তু একেবারে ভিন্ন। শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ফ্রিজ ছাড়াই ডিম দীর্ঘ সময় ভালো থাকে। বরং শীতে ফ্রিজে ডিম রাখলে ডিমের স্বাদ, গুণগত মান ও ঘনত্বে বেশ পরিবর্তন হয়।
তাই আসছে শীতের সময় ফ্রিজে নয়, ডিম সংরক্ষণ করুন একটি বড় ঝুড়িতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা এ ডিম পুষ্টিমানে ও স্বাদে অক্ষুণ্ন থাকবে শতভাগ।