নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে হরতাল সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। রোববার প্রহসনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে এবং এর প্রতিবাদ জানিয়ে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে এই মিছিল ও সমাবেশ করে তারা। বেলা ১২টায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু বের করে মঞ্চ। তাদের মিছিলটি বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনের প্রহসনের তফসিল ঘোষণা বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচন কমিশন জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মাফিয়া সরকারের নির্দেশে পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের সেই পাতানো নির্বাচনে অংশ নেবে না। ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ বিরোধীদল নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এরকম একতরফা পাতানো নির্বাচনে দেশের জনগণ যাচ্ছে না।
তারা বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টি করে সেই দায় বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে নেতাকর্মীদের মামলা ও গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমনের যে ঘৃণ্যপথ অবলম্বন করেছে সরকার, তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সরকারের সেই অন্যায়কেই বৈধতা দিয়েছে। হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের জেলে রেখে এবং লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী পুলিশী নির্যাতনের ভয়ে বাড়ি ছাড়া করে প্রহসনের তফসিল ঘোষণা এবং একতরফা করে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ জনগণের সঙ্গে চূড়ান্ত প্রতারণার।
‘দেশের মানুষ মনে করে- এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়! তাই জনগণ যেই নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোনো বিরোধীদলও অংশ নেবে না। আর যারা অংশ নেবে তারা ভবিষ্যতে জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিরোধী দল গুলো যে বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরছে সেটা নিয়ে আলাপ করে দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখুন।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এবং রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বাক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বেলাল এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া।