ডোমিনিকান রিপাবলিকে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আছেন চার মার্কিন নাগরিকও। এছাড়া এতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ভারী বর্ষণের পর ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশটির ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে শত শত বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে, বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং প্রচুর সেতু ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দেশটিতে। নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে। ডোমিনিকান প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদার এটিকে দেশের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে ভয়াবহ বৃষ্টিপাতের ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত অসংখ্য ফুটেজে দেশটির দুরবস্থা উঠে এসেছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড় ও বৃষ্টিতে ২ হাজার ৬০০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত এলাকা যোগাযোগবিহীন ছিল। গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপের ফলে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির ৩২টি প্রদেশের অধিকাংশই লাল এবং হলুদ আবহাওয়া সতর্কতার অধীনে রয়েছে।
আগামী বুধবার পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট আবিনাদার। তিনি এক্সে লিখেন, ভারী বৃষ্টির কারণে হওয়া প্রাণহানি নিয়ে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে চারজন মার্কিন নাগরিক এবং তিনজন প্রতিবেশী হাইতির নাগরিক রয়েছে।