মারাকানায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ মাঠে গড়ানোর আগে উত্তাপ ছড়ায় গ্যালারিতে। জাতীয় সংগীতের সময় ব্রাজিলিয়ান সাপোর্টারদের সঙ্গে মারামারি বাঁধে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে আর্জেন্টাইনদের লাঠিপেটা করে ব্রাজিলিয়ান পুলিশ। প্রতিবাদ জানাতে মাঠ ছেড়ে গ্যালারির দিকে ছুটে যায় লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনার সকল ফুটবলাররা। তাতে লাভ না হলে মাঠ ছেড়েই চলে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি বললেন, সমর্থকরা নির্যাতনের শিকার হলে খেলায় মনোযোগ থাকে না।
আজ মারাকানা স্টেডিয়ামে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইন দৈনিক টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা দুয়ো দিলে তাদের ওপর চেয়ার ছুড়ে মারতে শুরু করে ব্রাজিলের সাপোর্টাররা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। কারণটা যাই হোক, আর্জেন্টাইন দর্শকদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ভালোভাবে নেননি লিওনেল মেসি। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই খুব খারাপ হলো।
লোকেদের কীভাবে মেরেছে, সেটা আমরা দেখেছি। (কোপা) লিবার্তোদোরেসের ফাইনালেও এমন হয়েছিল, এখন আবারো লাঠিপেটা করা হলো।’
মেসি বলেন, ‘তারা (সমর্থকরা) আমাদের পরিবার। তারা যখন লাঠিপেটা হচ্ছে তখন আমাদের মনোযোগ আর খেলায় ছিল না। পরিবারই সবার আগে। তখন খেলার চেয়ে ওই চিন্তাটাই আগে আসে এবং বাকি সব গৌণ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি শান্ত করতেই আমরা ম্যাচটা খেলার সিদ্ধান্ত নিই।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের মাঠে তাদের হারানোর কীর্তি অর্জন করলো আর্জেন্টিনা। ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলকে নিয়ে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি বলেন, ‘এই দলটা ঐতিহাসিক সব অর্জন করেই চলেছে; যদিও এই দল যা যা অর্জন করেছে, তার মধ্যে এটাই (ব্রাজিল ম্যাচ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে ব্রাজিলে জেতাটা সব সময়ই আনন্দের। কারণ ঘরের মাঠে তাদের ইতিহাস এবং দলও খুব শক্তিশালী।’