চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, জনমত উপেক্ষা করে সরকার আবারও একটি পাতানো নির্বাচনের লক্ষে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে তাড়াহুড়ো করে তফসিল ঘোষণা করেছে। বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে তারা একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় এসে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চায়। তাই নির্বাচনের আগ মূহুর্তে পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে, সাজা দিয়ে, গ্রেফতার করে, লক্ষাধিক নেতাকর্মী কে গৃহছাড়া করে নির্বাচনের মাঠকে প্রতিযোগী শূন্য করছে। আওয়ামীলীগ দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ যৌথভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা করছে, নেতাকর্মীদের না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ধরে আনছে। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। তাই নিজস্ব এজেন্ট দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে শান্তিপূর্ন আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই জনগণের ভোটে নয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর ভর করে তারা ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের এই দিবাস্বপ্ন পূরণ হতে দিবে না। আমরা বলতে চাই, দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে না দিয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থে একটি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন। বন্দুকের নলের ভয় দেখিয়ে আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করা যাবেনা। বিএনপির নেতাকর্মীরা খুন-গুম, হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন মোকাবেলা করেই রাজপথে লড়াই করছে। অধিকার প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে জনতার বিজয় সুনিশ্চিত।
আজ ২২ নভেম্বর (বুধবার) সর্বাত্মক ৪৮ঘন্টা অবরোধের প্রথম দিনে সকালে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে নগরীর পাচঁলাইশ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মিছিলটি পাচঁলাইশ সুগন্ধার আবাসিক এলাকার মুখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে প্রবর্তক মোড় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন ,গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িঁতে পরিণত করেছে। উন্নয়নের নামে দেশ ও জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। সব জিনিসের মুল্য বৃদ্ধি করেছে। সব ক্ষেত্রে মানুষের অধিকার হরণ করেছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। তাই এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে এবং জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজপথই একমাত্র সমাধান।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, জহিরুল হক টুটুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, জাকির হোসেন, মোকলেছুর রহমান,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, কোতোয়ালী থানা আহ্বায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সোনামানিক, রাজিম উদ্দিন আখন্দ, দেলোয়ার হোসেন জনি, সজল বড়–য়া প্রমুখ।