মুন্সীগঞ্জে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের আলু জমি। জেলাজুড়ে আলু লাগানো জমি এখন বৃষ্টির পানির নিচে। জমিতে আলুর বীজ পচে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার সদর ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজে কোদাল দিয়ে জমির নালা কাটছে কৃষক। কিন্তু কৃষকের জমির পাশের ডোবা ও নালাগুলোও সারাদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। তাই কৃষকের কাটা নালাসহ তলিয়ে যাচ্ছে আলু বীজসহ জমি। অধিকাংশ জমির আলু রোপণ হওয়ার পর বৃষ্টিতে ভাসিয়ে নেয়ার পর অনেক প্রান্তিক কৃষক একরকম সর্বশান্ত। নতুন করে আলু রোপণের পুঁজিও নেই। যাদের পুঁজি আছে তারা মান সম্মত বিজ পাওয়া নিয় শঙ্কায় রয়েছে।
কৃষক কল্যাণ সমিতির হিসেবে অনুযায়ী, বৃষ্টিতে ২০০ কোটি টাকার আলুর বীজ নষ্ট হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষক ইমরান হোসেন বলেন, রোপন করা আলু বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। দুদিন আগে যে আলু বীজের ৫০ কেজির বস্তা ১৮০০ টাকা ছিল, এখন সেই বীজ ২৫০০ টাকা। এখন নতুন করে আলু বীজ জোগাড় করে আর জমি আবাদ করা মনে হয় সম্ভব হবে না।
মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর মোট ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করে ফেলেছে কৃষক। বাকি জমি আবাদ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আলু রোপণের আদর্শ সময় নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। সেই আদর্শ সময় পার হয়ে যাচ্ছে।