নিরবচ্ছিন্নভাবে গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে আড়াইশ মানুষ নিহত হয়েছেন। তারপরও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্সির কর্মকর্তা জেমা কনেল আল আকসা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন সোমবার। বলেছেন, চরমমাত্রায় রক্তপাত করা হচ্ছে গাজায়। কোনো বিরতি নেই। অব্যাহত হামলা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলছে, সোমবার দিবাগত রাতভর খান ইউনুস, বুরেইজি, জিহর আল ডিক এবং নুসেইরাতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মধ্য গাজার আল আকসা হাসপাতাল পরিদর্শন করে জেমা কনেল বলেছেন, সেখানে বহু মারাত্মক আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালটি চরমভাবে রোগীতে ‘ওভারলোডেড’।
ওদিকে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার গাজা পরিদর্শন করেছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন, ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের হামলার তীব্রতা কমিয়ে আনা উচিত। এমন আহ্বান জানানোর কয়েকদিনের মধ্যেই ওই মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে পেন্টাগন থেকে বলা হয়েছে, ইরাকের ইরবিল বিমান ঘাঁটিতে হামলার জবাবে ইরাকে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। আল জাজিরাকে ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট বলেছে, প্রতিদিনই গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ম লঙ্ঘনের মুখোমুখি হচ্ছেন তাদের স্টাফরা। এখন পর্যন্ত ইসরাইলের এই হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ৬৭৪ ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৫৩৬ জন। এর বেশির ভাগই শিশু ও নারী। ওয়াফা বলছে, দখলীকৃত পশ্চিমতীরের তুলকারেম শহরে ইসরাইলিরা জোর করে প্রবেশ করে সাবেক একজন বন্দিকে আবার গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম ইসলামবুলি রিয়াদ বাদির (৩২)। রামাল্লাহর পশ্চিমে সাফা গ্রামের গ্রামপ্রধান রাশাদ কারাজাকেও তার বাড়ি থেকে ইসরাইলিরা গ্রেপ্তার করেছে। মুক্ত করে দেয়া আরেকজন বন্দি ইহসান সত্যয়ে’কে আববার তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তুলকারেমের পূর্ব দিকে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে তার বাড়ি মাটি থেকে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।