চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠেছে মুখোশধারী দুই অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ সময় ওই ছাত্রীর বাগদত্তাকে মারধরের পর নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাই করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম সিকদার।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে ক্যাম্পাসের লেডিস ঝুপড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
লিখিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডিস ঝুপড়িতে তার বাগদত্তার সঙ্গে কথা বলার সময় দুইজন মুখোশধারী ব্যক্তি অযাচিত কথাবার্তা এবং প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে গালাগালি এবং একজন অসংযত স্পর্শ করা শুরু করে। এ সময় ফোনের পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় দুইজনকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা তিনটি মোবাইল ও পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনকারীরা
এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে চবি উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ তিন সদস্যের তদন্ত গঠন করেন।
তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর নাজিমুল আলম মুরাদকে সদস্য সচিব এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলামকে সদস্য করা হয়।