শওকত হোসেন করিম, ফটিকছড়ি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৭ দিন। সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম -২ (ফটিকছড়) আসনে জমজমাট প্রচারণা চলছে। এ আসনে সর্বমোট ৯ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই কোথাও হেঁটে হেঁটে, আবার কোথাও গাড়িতে ভোটারদের বাড়ি যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ফটিকছড়ির বিভিন্ন সড়ক ও অলি-গলি প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে লাগানো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। চলছে মিছিল-মিটিং ও পথসভা। ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। অনলাইনেও চলছে ভোটের প্রচার। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোট চাচ্ছেন। প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠ সরগরম রেখেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা। তারাও নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জমে উঠেছে ভোটের মাঠে প্রচারযুদ্ধ। গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। এ আসনে আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান এইচ এম আবু তৈয়বের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সানি । তিনি নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে বর্তমানে গুঞ্জন চলতেছে এ আসন আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়ে দিবে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি)। ওই বিষয়টি গুজব কিংবা গুঞ্জন এর ফলে সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (তরমুজ মার্কা) প্রতীকের এইচ এম আবু তৈয়ব । ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ নেতাকর্মী গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে এইচ এম আবু তৈয়বের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ( বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ (একতারা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ও সভা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন দেওয়ার উদ্দেশ্যে । অপরদিকে, ১৪ দলীয় জোটের শরীকদল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ফুলের মালা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছে। তিনি ফটিকছড়ি আসন হতে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ মজিবুল বশার মাইজভান্ডারী নৌকা প্রতীকের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দফায় দাফায় মিটিং করেছিলেন। শেষ মুহূর্তেও সৈয়দ নজিবুল বশর অনেকটাই আশাবাদী ছিলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে ফটিকছড়ি হতে নির্বাচন করবেন। কিন্তু নৌকা প্রতীক পাননি। এক পর্যায়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার দলীয় প্রতীক (ফুলের মালা) নিয়ে নির্বাচন মাঠে থাকবেন। অনেকটাই অভিমানী তরিকত চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাহিরে আছেন। তার পক্ষ প্রচার- প্রচারণা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়বুল বশর। তিনি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর পুত্র। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ৮০ দশকের প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা মোঃ শাহজাহান। তার নির্বাচনী প্রতীক (ঈগল) মার্কা। প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর প্রার্থী মুহাম্মদ হামিদ উল্লাহ। তার দলীয় প্রতীক (মোমবাতি) নিয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজারগুলোতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মীর মুহাম্মদ ফেরদৌস (চেয়ার) মার্কা প্রতিক নিয়ে প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তার নিজ এলাকা হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের হাটবাজারে ও পাড়া মহল্লাতে। অন্যদিকে খাতা কলমে ভোটের মাঠে থাকলেও প্রচার- প্রচারনায় তেমন দেখা যাচ্ছে না জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী (নাঙ্গল) তন্ত্র প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীর (ফুলকপি) মার্কা প্রতীক ।
ফটিকছড়িতে জমে উঠেছে প্রচার- প্রচারণা

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন