মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, কারো পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর বাধ্যবাধকতা ছিল না। নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন? পরাজিত প্রার্থীরা নানা ধরনের অনভিপ্রেত মন্তব্য করে চলেছেন।
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক পরাজিত প্রার্থীরাও আছেন। সবচেয়ে বড় কথা হল দলের মধ্যে কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি থাকেই।
দলের নিয়মিত কর্মকান্ডে তারা মাঠে না থাকলেও সুযোগ বুঝে ব্যক্তিক ফায়দা লুটার জন্য নানা ধরনের ছলচাতুরি করে থাকেন। এবারও কেউ কেউ তা করে চলেছেন। এখন নির্বাচন শেষ। নির্বাচনী মাঠে শেখ হাসিনার কৌশল ও অবস্থান বিজয়ী হয়েছে। বিজয়ী শক্তি হিসেবে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো বিদ্যমান তা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৫২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সাবেক মেয়র নাছির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নির্বাচনে তাঁর কৌশলগত অবস্থানে এদেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক মানুষের অভাবিত বিজয় অর্জিত হয়েছে। এই বিজয়কে নানা ধরনের কূটকৌশলে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা চায় তারা ৭১’র পরাজিত শক্তির পেতাত্মা এবং জনগণের প্রতি তাদের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা নেই।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন বানচাল করার শত অপচেষ্টার মুখে এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য দলীয় প্রতীকের বাইরেও দলের মধ্যে যারা নির্বাচন করতে চান তাদেরকে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন এবং তিনি সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও প্রার্থীর অনুকূলে ভোটাররা যাতে তাদের রায় প্রদান করতে পারেন সেজন্য অনুকূল পরিবেশ ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৭১’র ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাধ্যমে দেশ হানাদার মুক্ত হলেও পরিপূর্ণ বিজয় সেদিন আসেনি। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয় পরিপূর্ণতা অর্জণ করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ধূলিসাৎ করতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াকু প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এবং গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সুরক্ষায় তিনি অবিরাম লড়াই চালিয়ে সফল হয়েছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, থানা আওয়ামী লীগের ছিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, আতিকুর রহমান ও কাজী হুমায়ুন আলম মুন্না প্রমুখ।