বাংলাদেশ ইস্যুতে নীতি পরিবর্তনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হোয়াইট হাউস। তারা বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের সমন্বয়ক জন কিরবি। বুধবার এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কারাদণ্ডের বিষয়ও উঠে আসে। ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৭ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব কি তা জানতে চান। মুশফিক প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। এই নির্বাচনের আগে বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে দমনপীড়ন চালানো হয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এই দমনপীড়নকে ক্র্যাকডাউন হিসেবে চিহ্নিত করেছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা।
অন্যদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্র প্রচারণায় যে সীমাবদ্ধতা আছে তা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। জন কিরবির কাছে তিনি আরও জানতে চান, এর আগে আপনি বলেছিলেন বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে যা যা করা দরকার তাই করবেন আপনারা।
এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের আগে আপনারা ভিসানীতি ঘোষণা করেন। বাইডেন প্রশাসনের গণতন্ত্র বিকাশের চেষ্টা বাংলাদেশে সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়েছে বলে যে উদ্বেগ সামনে এসেছে, সে বিষয়ে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কি? এ প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন, আমরা স্পষ্টতই এখনও বিশ্বজুড়ে কার্যকর এবং গতিশীল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বের ওপর বিশ্বাস করি। বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমাদের চাওয়া বা আকাঙ্ক্ষার কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আমাদের সেই আকাঙ্ক্ষার মধ্যে আছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রত্যাশা।