চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের আত্মসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভিত্তিক কর্মসূচী গ্রহণ করে তিনি ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। তিনি এদেশের উন্নয়নের জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে গেছেন। শহীদ জিয়ার খালকাটা কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছিল। শহীদ জিয়া তলাবিহীন জুড়ি আখ্যাপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন। সার্কের স্বপ্নদষ্টা এই মহান নেতা জীবন যাপন করতেন খুব সাধারণভাবে। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে শহীদ জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে ততদিন শহীদ জিয়ার নাম মানুষের হৃদয়ে গাথা থাকবে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারী) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্ম বার্ষিকীর কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা গণতন্ত্র পেয়েছিলাম। দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছিল। কিন্তু সেই গণতন্ত্র ও অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত৷ স্বাধনীতার ঘোষকের স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ গৃহবন্দী, সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। দেশে আজ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নেই। বিএনপি দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্রের আন্দোলন করছে৷ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। এই পরিস্থিতি থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গরিব দু:স্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ও আলোচনা সভায় সর্বস্তরে নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, মো. সেকান্দর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, মহানগর বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা প্রমূখ।