আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যখন সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে, অনেকের মনে তখন চাকরি হারানোর ভয় প্রবল হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এই মুহূর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কর্মক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হতে পারবে না বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
মাস্যাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক ব্যয় বহুল পদ্ধতি হওয়ায় এখন পর্যন্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হতে পারবে না।
এআই বিশ্বে চাকরির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে-এর ফলে বিশ্বে লাখো মানুষ চাকরি হারাবে চাকরিপ্রার্থী এমন কথা অনেক দিন ধরেই বিশ্লেষকেরা বলে আসছেন। এই উদ্বেগের মধ্যেই এমআইটির গবেষণার কথা জানা গেল।
গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যয়বহুল পদ্ধতি হওয়ায় মাত্র ২৩ শতাংশ কাজ এআইয়ের মাধ্যমে মানুষের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারবে। এতে বলা হয়, এআই পরিচালিত ভার্চুয়াল রিকগনিশন ডিভাইস ও সিস্টেমগুলো ইনস্টল করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা এত ব্যয়বহুল যে মানুষ আরও অর্থনৈতিকভাবে কাজটি শেষ করতে পারে।
এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রায় ৪০ শতাংশ চাকরিকে প্রভাবিত করবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
এআইয়ের প্রভাবে বৈশ্বিক বৈষম্য পরিস্থিতি আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, এআই ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট সামাজিক সংকট আরও জোরদার হওয়ার আগে এর মোকাবিলায় নীতিনির্ধারকদের ভাবতে হবে।
আইএমএফের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চাকরির একটি বৃহৎ অংশকে প্রভাবিত করবে এআই। উন্নত অর্থনীতির দেশে এ প্রভাব ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।
আইএমএফ বলছে, এআইর কারণে যেমন চাকরি চলে যেতে পারে, আবার কাজকে আরও সহজ করেও তুলতে পারে। উচ্চ আয়ের ও তরুণ কর্মীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মজুরিতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বৃদ্ধি দেখতে পেলেও নিম্ন আয়ের ও বয়স্ক কর্মীরা পিছিয়ে পড়তে পারেন।