বই মানুষকে আলোকিত করে। তাতে আলোকিত হয় দেশ-সমাজ। বিশেষ করে মাদক ও বিদেশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের এ সময়ে মেধাভিত্তিক মননশীল সমাজ বির্নিমানে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম নগরীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রোববার রাতে এক অনুষ্ঠানে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্টজনেরা। গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্কলার রাইটার্স একাডেমির আয়োজনে পাঁচ জন লেখকের সাহিত্য সম্মেলন ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক ডঃ গাজী গোলাম মাওলা, সহকারী পরিচালক মো: মোশাররফ হোসেন, সাবেক সাংসদ সাবিহা মুসা, বিএএফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম’র সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ নাসির উদ্দীন, উপাধ্যক্ষ আবু সাঈদ, কাউন্সিলর জনাব সালেহ আহমদ চৌধুরী, চট্টগ্রামের জেলা জজ্ জানাতুল ফেরদৌস আলেয়ার উদ্বোধন ঘোষণার মধ্য দিয়ে সাহিত্য সম্মেলনের শুভ সূচনা হয়, এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কলার্স রাইটার্স একাডেমির চেয়ারম্যান রেহানা পারভীন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষক মোঃ আলী আব্বাস। অনুষ্ঠানে পাঁচজন লেখকের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে ছিলো জান্নাতুল ফেরদৌস ও রেহানা পারভীনের কবিতার ক্যানভাস, জনক সমাচার, সাবেক সাংসদ ও লেখক সাবিহা মুসার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থেকো, সৈয়দা রাজিয়া মাহবুবের ফাল্গুনের আগুন, আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাব্যগ্রন্থ পদ্ম পাতার জীবনী, হালিমা নিশাতের মেঘের ভাঁজে নোনা জল, মৌ হোসেনের খোলা চিঠি। সাহিত্য সম্মেলনে লেখকদের মোড়ক উন্মোচনের পর শুরু হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এতে সংগীত পরিবেশনায় ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী তাবাসসুম তামান্না, আবৃত্তি পরিবেশনায় দেবযানী দাশগুপ্তা, নৃত্যে রাবেয়া জামান এঞ্জেলা। সমগ্র আয়োজনটির সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিকশিল্পী অধ্যাপক দেবাশিস্ রুদ্র।
স্কলার রাইটার্স একাডেমির সাহিত্য সম্মেলন সম্পন্ন
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন