কানাডার জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করছে কমিশন। ২০১৯ এবং ২০২১ সালের নির্বাচনে এ বিষয়ে ভারতের যুক্ত থাকার সম্ভাব্যতা নিয়ে তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ওই কমিশন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। এতে বলা হয়েছে, কানাডার নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা রাখার তদন্তে প্রথমবারের মতো ভারতের নাম উঠে এলো। এর মাধ্যমে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলো ভারতের নাম। এসব দেশকে কানাডা সন্দেহ করছে তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা হিসেবে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, তদন্তের এই তালিকায় ভারতের নাম যুক্ত হওয়ায় কানাডার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। এরই মধ্যে ভ্যানকোভারে শিখ নেতা হরদিপ সিং নিজার হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগের পর কানাডা ও ভারতের সম্পর্ক তলানিতে চলে গিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এসব বিষয়ে যোগাযোগ করলে অটোয়াতে ভারতীয় হাই কমিশন থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। গত বছর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেন, হরদিপ সিং নিজারকে হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত।
এ বিষয়ে কানাডার কাছে তথ্যপ্রমাণ আছে। তারপরই কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে আঘাত লাগে। এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে নয়া দিল্লি ক্ষোভ প্রকাশ করে। অক্টোবরে ভারত থেকে কমপক্ষে ৪০ জন কানাডিয়ান কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয় অটোয়াকে। জাস্টিন ট্রুডোর ওই অভিযোগ আবার জোরালো হয়ে ওঠে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা নভেম্বরে অভিযোগ করেন- গত বছর নিউ ইয়র্কে ভারতের একজন শিখ নেতাকে হত্যায় ভারতের একজন কর্মীর সঙ্গে কাজ করছিলেন ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্ত। এই অভিযোগে বিস্তারিত বলা হয়, কানাডায় একজন অধিকারকর্মীর (নিজার) বিরুদ্ধে একই রকম উদ্যোগ নেয়ার বিষয়ে অবহিত ছিলেন নিখিল গুপ্ত। কানাডায় নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা জগমিট সিং নিজে একজন শিখ নেতা। দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিষয়ে (তদন্তে) ভারতকে যুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন তিনি। এনডিপি কানাডার একটি বিরোধী দল। জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টিকে ক্ষমতায় রাখতে তাদের সঙ্গে এই দলটির একটি চুক্তি আছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্র বা বিরাষ্ট্রীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের জন্য চীন ও রাশিয়াকে যুক্ত করে কানাডা সরকার। সেপ্টেম্বরেই এই তদন্ত শুরু হয়েছে।