যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার গ্রিড, পাইপলাইন সহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করেছিল চীনের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট একটি গ্রুপ। তারা এসব প্রতিষ্ঠানে হ্যাক করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের সে প্রচেষ্টাকে ভণ্ডুল করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এ সংস্থার পরিচালক ক্রিস্টোফার রে আইনপ্রণেতাদেরওকে বলেছেন, ওই গ্রুপটির নাম ‘ভোল্ট টাইফুন’। তাদের কর্মকাণ্ডকে বাতিল করে দিয়েছেন তারা। গ্রুপটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সম্পদের ডাটার সুবিধা পাওয়ার জন্য পুরনো হাজার হাজার রাউটার হ্যাক করেছিল। এ বিষয়ে চীন সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এর আগে অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদতে সাইবার লড়াই চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছিল চীন। উল্টো তারা অভিযোগ করেছিল, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকিং সাম্রাজ্য এবং বৈশ্বিক সাইবার চোর হলো যুক্তরাষ্ট্র।
ক্রিস্টোফার রে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল কমিটিকে বলেন, শত্রুতাপূর্ণ লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত সিস্টেম নষ্ট করে দেয়ার জন্য চীন ইচ্ছাকৃতভাবে কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভোল্ট টাইফুন’ গ্রুপের হ্যাকিং প্রচেষ্টা প্রথম নজরে আসে গত মে মাসে।
এর আগে মাইক্রোসফট তাদের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। বলা হয়েছিল, এই গ্রুপটি সরকারি ই-মেইল একাউন্ট সহ বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তিতে সুবিধা পাওয়ার টার্গেট করেছে। এফবিআই বলে, গ্রুপটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে টার্গেট করেছিল। এর মধ্যে আছে পানি শোধন ব্যবস্থা, পাওয়ার গ্রিড, পরিবহন সিস্টেম, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন। এমনকি যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। ক্রিস্টোফার রে বলেন, ম্যালওয়্যার ইন্সটল করাতে সক্ষম হয় চীনের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট এই গ্রুপটি। তার মাধ্যমে তারা ওইসব অবকাঠামোর হাজার হাজার পুরনো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রাউটারে কানেকশন পেতে সক্ষম হয়। এই ম্যালওয়্যার চীনকে তার কর্মকাণ্ড চালানোর আগে সতর্কতা দেয়া থেকে রক্ষ করে। এর ফলে ওই হ্যাকারগোষ্ঠী মার্কিন জনগণের এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। চীন যদি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তারা শুধু রাজনৈতিক বা সামরিক টার্গেটকেই বেছে নেয় না।