শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ চটগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ৮নং কদলপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছড়ার পাড় আবদুল হামিদের নতুন বাড়ীর বাসিন্দ্বা মৃত আহম্মদ উল্ল্রাহর পুত্র আবদুল বারেক (৭৭) । আবদুল বারেক এখনো জীবিত রয়েছেন । আবদুল বারেকের স্ত্রী নুর নাহার বেগম, দু কন্যা সন্তান ফরিদা বেগম, রুবি আকতার, দুপত্র সন্তান মোহাম্মদ শফি, সাইফুল ইসলাম । আবদুল বারেকের দুই কন্যার মধ্যে ফরিদা বেগমকে রাউজানের মোহাম্মদপুর বানুহাজীর বাড়ীর ইলিয়াছের সাথে বিয়ে দেয়। ফরিদা বেগমের স্¦ামী ইলিয়াছ মারা যায়। ফরিদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে রয়েছেন । অপর কন্যা রুবি আকতারকে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ঢালার মুখ এলাকার আবদুল জব্বার সওদাগারের পুত্র বাদশা মিয়াকে বিয়ে দেওয়া হয় । রুবি আকতারের স্বামী বাদশা মিয়া ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । রুবি আকতার তার সন্তানদের নিয়ে তার স্বামীর বাড়ীতে রয়েছে । আবদুল বারেকের দু সন্তান মোহাম্মদ শফি ও সাইফুল ইসলাম মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন । আবদুল বারেক ৭নং রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান লম্বরইয্যার বাড়ীর পাশে জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ী নির্মান করে তার দুপুত্র প্রবাসী শফি ও সাইফুল ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করেন । কদলপুর ইউয়িনের ৪ নং ওয়ার্ডের ছড়ার পাড় আবদুল হামিদের নতুন বাড়ীতে বৃদ্ব আবদুল বারেকের ক্রয় করা সম্পত্তিতে তার ঘরবাড়ী রয়েছে । কদলপুর বৃদ্ব আবদুল বারেকের ভাই মৃত আবদুল কাদেরের স্বজনরা আবদুল বারেক কোন বিবাহ করেনি তার কোন সন্তান নেই, আবদুল বারেক মৃতবরণ করেছে মর্মে দাবী করে । তাদের মিথা দাবীর স্বপক্ষে ওয়াশিয়ান সনদ সহ ভুয়া দলিল সৃজন করে বৃদ্ব আবদুল বারেকের সম্পত্তি তার ভাই মৃত আবদুল কাদেরের স্বজনেরা ভুয়া নামজারি করে নেয় । যার নামজারী মামলা নং-১৭৬২/২১-২২। বৃদ্ব আবদুল বারেক বলেন আমার মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে রাউজানের উনসত্তর পাড়া ভুমি অফিসে গেলে আমার কাছ থেকে ভুমি উন্নয়ন কর নেয়নি উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা। উপ সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আমাকে জানায় ঐ জমি আমার ভাই আবদুল কাদেরের স্বজনদের নাম নামজারী করা হয়েছে । তার শুনে কয়েকদপে ভুয়া নামজারী বতিল করার জন্য রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমির আদালতে আবেদন করা হলে ও ভুয়া নামজারী বাতিল করা হয়নি। সর্বশেষ গত ২২ জানুয়ারী পুণরায় ভুয়া নামজারী মামলা বাতিল করার জন্য রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমির আদালতে আবেদন করার পর ও কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় গতকাল ১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কনকেনে শীতের মধ্যে এসে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমির আদালতে এসেছি । সকাল থেকে বসে থাকার পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের সময়ে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম অফিসে আসলে, উপজেলঅ সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করি। উপজেলঅ সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম আমার আবেদন দেখে বলেন, নাজির ছুটিতে গেছে ছুটি থেকে আসলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করবো । ্এ ব্যাপারে রাউজান উনসত্তর পাড়া ভুমি অফিসের ইউনিয়ন ভুৃমি সহকারী কর্মকতা মৃদুল ভট্টচায্যকে ফোন করে জানতে চাইলে,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রদত্ত ওয়ারিশান ও মৃত্যু সনদ দিয়ে কোন মানুষ জীবিত থাকার পর তাকে মৃত সাজিয়ে কেউ নামজারী করলে ঐ নামজারী বাতিলের আবদন করলে তা বাতিল করার নিয়ম রয়েছে । এ ব্যাপারে কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীকে ফোন করে জানতে চাইলে, কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী বলেন, আমি খোজ নিয়ে দেখছি বিষয়টি । আমার আমলে এ ধরনের ওয়ারিশান সনদ দেয়নি বলে মনে হয় । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ব আবদুল বারেকের আবেদন পেয়েছি। তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
রাউজানের নিউজ
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন