ইরাক এবং সিরিয়ায় হামলার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কৌশলগত ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইরান।
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে তেহরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা এবং অস্থিতিশীলতা আরও বাড়াবে।
গত সপ্তাহে জর্ডানে একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ৪০ জন আহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ হামলা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পরদিন শনিবার এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, মার্কিন হামলা ইরাক ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মার্কিন হামলা ইহুদিবাদী শাসকের সমর্থন করে দাবি করে তিনি বলেন, এই ধরনের আক্রমণের ধারাবাহিকতা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই সংকটের বিস্তার রোধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইরানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও সংকটের শেকড় ইসরায়েলি শাসকদের দখলে এবং গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমাহীন সমর্থনে ধারাবাহিকভাবে ফিলিস্তিনিরা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। ’
গত সপ্তাহে জর্ডানে প্রাণঘাতী সেই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইরান-সমর্থিত বাহিনীকে দায়ী করেছিল। পরে সৈন্যদের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন থেকে ব্যাপক বিমান হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ইরান সংশ্লিষ্ট ইরাক ও সিরিয়ার ৮৫টি স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্স এবং তাদের সংশ্লিষ্ট মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আমেরিকান বাহিনী ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে। এই হামলায় বহু যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসা দূরপাল্লার বোমারু বিমানও রয়েছে।
শুক্রবারের এই হামলায় হতাহতের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি ইরান।