বর্তমান সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ফেসবুক। বিশেষ করে বাংলাদেশহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় ফেসবুক জনপ্রিয়তায় অন্য সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বহু এগিয়ে। আজ থেকে ২০ বছর আগে চালু হয়েছিল এই ফেসবুক। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জন্ম নেয়া মার্ক জাকারবার্গ এই ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা। জন্ম থেকেই ফেসবুককে ঘিরে নানা বিতর্ক লেগেই ছিল। তারপরেও এই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন হয়ে উঠেছেন জাকারবার্গ।
২০০৪ সালের ৪ই ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য ফেসবুক চালু করেছিলেন জাকারবার্গ। এর আগে ২০০৩ সালে ফেসম্যাশ নামের আরেকটি প্রজেক্ট ছিল, যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জাকারবার্গ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি লঙ্ঘন করায় এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই প্রজেক্ট থেকে ধারণা নিয়েই জাকারবার্গ পরে নিজের মতো করে ফেসবুক চালু করেন।
ফেসবুকে যত ইচ্ছা তত ছবি আপলোড করা যেত এবং ছাত্ররা চাইলেই নিজের বিষয়ে নানা তথ্য সেখানে শেয়ার করতে পারতো। এ কারণে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে এই সাইটটি।
প্রথম চার মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ফেসবুকে একাউন্ট চালু করেন। ২০০৪ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক মিলিয়নের বেশি।
ব্যবসা ভালো চলায় হার্ভার্ড থেকে বেরিয়ে এসে সেখানেই লেগে থাকেন জাকারবার্গ। একাউন্ট খোলার বয়স ১৩ বছরে নামিয়ে আনার পর আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ফেসবুক। কোম্পানিগুলোর কাছে ওয়েবসাইটের ফাঁকা স্পেস বিজ্ঞাপনের জন্য বিক্রি করে অর্থ আয় করতে থাকেন জাকারবার্গ।
যদিও পরবর্তী বছরগুলোতে অর্থের লোভে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য বিক্রি করে দিচ্ছে, প্রাইভেসি নষ্ট করছে বলে জোরালো দাবি ওঠে। ২০১০ সালে জাকারবার্গের এমন ভয়ানক রূপ নিয়ে নির্মাণ করা হয় ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’ নামের একটি সিনেমা। ৮৩তম অস্কারে এই সিনেমাটি ৮টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল এবং তিনটি বিভাগে জয় পেয়েছিল।
এর পরের দশকেও ফেসবুককে ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। বিতর্কের সঙ্গে সঙ্গে নিজের পরিধিও বড় করেছে এই সোশ্যাল মিডিয়াটি। ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের মতো কোম্পানিগুলো কিনে নেন জাকারবার্গ। ২০২১ সালে ফেসবুক তার প্যারেন্ট কোম্পানির নাম বদলে নাম দেয় মেটা। বর্তমানে জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬৭ বিলিয়ন ডলার।