ফেনীর ছাগলনাইয়া সীমান্তে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ‘চিনি চোরাচালানের’ অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সোমবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ পিলার পূর্ব ফেনীর ছাগলনাইয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়ভাবে জেনেছেন বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা।
সোমবার দিবাগতরাতে ভারতের সমরগঞ্জ ও বাংলাদেশের ৯৯ পিলারের কাছে চোরাচালানের চিনির বস্তা বহনের কাজ করছিল শতাধিক শ্রমিক। এসময় বিএসএফ ধাওয়া করে। অনেকে পালিয়ে সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে আসতে পারলেও প্রায় ২৩ জন শ্রমিক বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।
বিএসএফ’র হাতে আটক শ্রমিকরা হলো- ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), রাইসুল ইসলাম (১৯), মো. সামিন (৪০), মো. হারুন (২৩), মো. লিটন (৩০), মাঈন উদ্দিন (২০)। রাধানগর এলাকার মো. মহসিন (২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম সাকিল (২২), মো. হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), মো. ইমরান (২২), মো. রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), মো. করিম (২০)। ছাগলনাইয়ার মটুয়া এলাকার মো. খোরশেদ (৩৮), আজাদ হোসেন (২৫), মো. মাহিম (২৫), মো. হারুন (৩২), ইমাম হোসেন (২২)।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা মানবজমিনকে বলেন, চিনি চোরাচালানের ঘটনায় বিএসএফ’র হাতে বেশকিছু বাংলাদেশি আটকের বিষয় সম্পর্কে ফেনী বিজিবি অবগত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের স্বজনদের কেউই মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ করেননি। তবে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে পূর্ব ছাগলনাইয়া বিজিবি ক্যাম্পে তাদের স্বজনরা জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিয়েছেন বলে অবগত হয়েছি।’
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, ছাগলনাইয়া সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশি আটক হয়েছে এরকম কোন লিখিত অভিযোগ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত থানায় দায়ের হয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।