সিলেটের কানাইঘাটের গাছবাড়ীতে সিএনজিচালক আলমগীরের খুনিরা ধরা না পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। খুনের ঘটনার পর প্রায় ১৪ ঘণ্টা লাগাতার সড়ক অবরোধের পর খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছে, আসামিদের ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাদের পাওয়া যায়নি। এখনো অভিযান চলছে। অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন- বৃহস্পতিবার যে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল এর সময় গতকালই শেষ হয়েছে। এ কারণে আজ রোববার বিকালে গাছবাড়ী বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গাছবাড়ী বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে অবস্থিত সিএনজি স্ট্যান্ডে চালক আলমগীরকে খুন করা হয়েছিল।
ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তিনচটি গ্রামের মৃত আলী আহমদ মিস্ত্রির বড় ছেলে অটোরিকশা সিএনজি চালক আলমগীর হোসেনের সিএনজি গাড়ির সঙ্গে একই ইউনিয়নের আকুনি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে সাদিক আহমদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এনিয়ে মোটরসাইকেল চালক সাদিক আহমদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও এক যুবক উত্তেজিত হয়ে তাদের সঙ্গে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে অটোরিকশা চালক আলমগীরকে এলোপাতাড়িভাবে কুপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই আলমগীর হোসেনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসতে দেখে ঘাতকরা মোটরসাইকেল রেখেই পালিয়ে গেলে উত্তেজিত জনতা তাদের মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সালমান আহমদ বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।