চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের (চিনির কারখানা) আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুন পুরো নির্বাপণ করা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত থেমেথেমে জ্বলছে আগুন। কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বরঞ্জীব বড়ুয়া বলেন, অপরিশোধিত চিনির গোডাউন হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের বহু বেগ পেতে হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি। আগুন নেভাতে সময় লাগবে অনেক। ঘটনাস্থলে আমাদের ১৪টি ইউনিটের সদস্যরা, পাশাপাশি ঊর্ধ্বতনরা আছেন। আগুন যাতে কোনোভাবে ছড়িয়ে না যায় সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন৷ পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
গত সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের এই চিনিকলের একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিকেল ৪টার দিকে খবর পেয়ে শুরুতে দুটি ইউনিট, পরে আরো ৫টি ইউনিটসহ মোট ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
তবু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় যুক্ত হয় আরো ৭টি ইউনিট। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪ টি ইউনিট কাজ করছে। জানা যায়, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে অপরিশোধিত চিনি ও চিনির কাঁচামাল আমদানি করে এ প্লান্টে পরিশোধন করা হয়। এ কারখানায় দৈনিক দেড় হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে এই কারখানায় সাড়ে ২ লাখ টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি মজুদ থাকার কথা রয়েছে।
এদিক এস আলম সুগার রিফাইনারি কারখানার কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন,যে গুদামে আগুন লেগেছে, সেখানে এক লাখ টনেরও বেশি অপরিশোধিত চিনি রয়েছে। সব চিনি ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে। এ গুদামের পাশে অপর একটি গুদামে আরও কয়েক লাখ টন পরিশোধিত চিনি রয়েছে। সেই গুদাম রক্ষা করতে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে এস আলম গ্রুপের জিএম আক্তার হোসেন মানবজমিনকে বলেন, এই বিষয়টি আমরা ঠিক এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আগুন তো এখনও থামেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে এই বিষয়ে বলা যাবে।