প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সাহসী ভূমিকা রেখেছে র্যাব। এছাড়া বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে পুনর্বাসন করেছে তারা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। বুধবার সকালে র্যাবের সদর দপ্তরে র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠারবার্ষীকির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তাররোধে র্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। র্যাবকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশকেও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দেশের মানুষের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে স্যাংশন আসে। তখন বলেছিলাম, স্যাংশন কখনও একতরফা হয় না। প্রয়োজনে আমরাও স্যাংশন দেবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত নির্বাচনে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ করে দিতে র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অতীতে মতো ভবিষ্যতেও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজানে সংযমের পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে। এসব ব্যবসায়ী, চোরাকারবার ও ঈদে জাল টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা চায়নি দেশে নির্বাচন হোক, অগণতান্ত্রিক ধারা আসুক তারাই খুশি হতে পারেনি। কিন্তু দেশের মানুষ এবং বন্ধুপ্রতীম দেশ-সংস্থা তারা সবাই আনন্দিত। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়ায় এবং আবার সরকার গঠনের জন্য তারা পত্র পাঠিয়েছে।