আগামী ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৪ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, এ জন্য সাতদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে অর্থাৎ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ১১ মার্চ চাঁদপুরের সদর উপজেলার মোলহেড প্রাঙ্গণে এ বছরের জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন করা হবে। এদিন মেঘনা নদীতে নৌ-র্যালী করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে প্রতি মৎস্যজীবী পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এই ভিজিএফের পরিমাণ ১০ কেজি থেকে চল্লিশ কেজিতে উন্নীত করেছেন।
‘বর্তমান সরকার জাটকা রক্ষায় কেবল আইন প্রয়োগ করছে না বরং এই মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০ জেলায় ৯৭ উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৭১ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৭১ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ মাছ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, একইসাথে দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে চাই। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি ও বিজিবি সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশকে নিরাপদে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য। মধ্যেসত্বভোগীদের কারণে ইলিশের প্রচুর উৎপাদন এবং বাজারে থাকলেও অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে।
এবং সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন এবং গণমাধ্যমের প্রচার-প্রচারণা প্রয়োজন। ইলিশ যখন বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি আসবে তখন মাছের দাম কমে আসবে। ফলে যারা সময়ে সময়ে মাছের দাম বৃদ্ধি করে তারা এই সুযোগটা পাবে না। মধ্যেসত্বভোগীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।