শফিউল আলম, রাউজান ঃ বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের আওতাধিন রাউজান রাবার বাগান ১৯৬১ সালে গড়ে উঠে । রাউজান পৌরসভার পশ্চিম রাউজান, পুর্ব রাউজান, মুখছড়ি, রাউজানের ৭নং রাউজান ইউনিয়নের পুর্ব রাউজান, ভোমরঢালা, রাউজান উপজেলার সীমানতবর্তী রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের মনাই পাড়া, ডিলাইট, আমতল, চিকনছড়া, তালতলা, নাকাটা, ডাক্তার ছোলা, ডাইলং পাড়া, চৌধুরী পাড়া এলাকাসমুহের ১হাজার ৮শত ৬৭ একর পাহাড়ী জমিতে গড়ে উঠা রাউজান রাবার বাগান । রাউজান রাবার বাগানের প্রতিষ্টালগ্ন থেকে লাভজনক প্রতিষ্টানে পরিণত হয় । পরবর্তী ৯১সাল ও ৯৭ সালের ঘুর্নিঝড়ে রাউজান রাবার বাগানের বিপুল পরিমান রাবার গাছ বিধস্ত হয় । এতে রাবার উৎপাদন কমে এসে এক সময়ে লাভজনক প্রতিষ্টান অলাভজনক প্রতিষ্টানে পরিণত হয় । ঘুর্নিঝড়ে বিধস্ত রাউজান রাবার বাগান আর্থিক সংকট কাটিয়ে বিধস্থ রাবার বাগানকে পুনলায় রাবার গাছ রোপন করার মাধ্যমে রাবার বাগান গড়ে তোলে । রাউজান রাবার বাগানের উৎপাদিত রাবার দেশের মধ্যে রাবার দিয়ে তৈয়ারী করা জুতা স্যান্ডেল, পানির টাংক, গাড়ীর টায়ার টিউব, যানবাহন ও মেশিনারী কাজে বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জাম তৈয়ারী করা হতো রাবার কারখানায় । দেশের রাবার বাগানের উৎপদিত রাবার বাদ দিয়ে বিদেশ থেকে রাবার আমদানী করায় দেশের উৎপাদিত রাবারের বাজার মুল্য কমে যায় । রাবার উৎপাদন খরচের চেয়ে উৎপাদিত রাবারের দাম কম হওয়ায় আবারো রাবার বাগান আর্থিক সংকট সৃষ্টি হয় । ঐ সময়ে অনকে কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতনের টাকা বকেয়া থাকে । বেতনের টাকা না পেয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের পরিজন নিয়েমানবেতর জীবন যাপন করে। অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীরা চাকুরি ছেড়ে চলে যায় । এতে জনবল সংকট হয় । গত দু বৎসর ধরে রাবার ভারতে রপ্তানী হওয়ায় উৎপদিত রাবারের বাজার মুল্য বাড়লে রাউজান রাবার বাগান লোকসান কাটিয়ে লাভজনক প্রতিষ্টানে ফিরতে সক্ষম হয় । বর্তমানে প্রতি কেজি রাবার ২শত টাকা করে বিক্রয় করছে রাবার বাগান । ১ হাজার ৮শত ৬৭ একর আয়তনের রাবার বাগানের জমি থেকে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ৫শত ৮২ একর রাবার বাগানের জমি জবর দখল করে বৃক্ষের বাগান ঘরবাড়ী গড়ে তোলে । গত দু বৎসরের মধ্যে জবর দখল করা জমি থেকে ২শত ১৬ একর জমি প্রবাবশালী ব্যক্তিদের জবর দখল থেকে উদ্বার করে রাউজান রাবার বাগান। জবরদখল থেকে উদ্বার করা জমিতে নতুন করে রাবার গাছ রোপন করে নতুন রাবার বাগান সৃজন করেন রাউজান রাবার বাগান। রাউজান রাবার বাগানের ম্যানেজ্যার মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, রাউজান রাবার বাগানে জনবল থাকার কথা কমকর্তা কর্মচারী সহ ১শত ৬৫ জন, তার মধ্যে রয়েছে ১৯ জন। আস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীর পদ সংখা ১শত চার জন । বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে ১শত ৬২ জন । রাউজান রাবার বাগানের রাবার গাছ থেকে প্রতিদিন স্থাণীয় নারী পুরুষ রাবারের খস সংগ্রহ করেন । রাবার খস আহরনকারীদের প্রতি কেজি রাবারের খস আহরন বাবদ মৌসুম চলাকালে ৯ টাকা, মৌসুম ব্যতিত প্রতি কোজি ১৫ টাকা করে মজুরী দেয়া হয় । রাউজান রাবার বাগানে বর্তমানে উৎপাদনশীল রাবার গাছ রয়েছে ৮২ হাজার। জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ রয়েছে ২ হাজার ৫শত ৫৪। নতুন সৃজন করা রাবার বাগানে রাবার গাছ রয়েছে ১লাখ । চলতি অর্থ বৎসরে রাউজান রাবার বাগানে রাবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২শত ৮ মেট্রিক টন। বর্তমানে ১শত ৭৪ মেট্রিক টন রাবার উৎপাদন হয়েছে । অর্থ বৎসরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী রাবার উৎপাদন করতে পারবে বলে আশা করছেন রাউজান রাবার বাগানের ম্রানেজার মোহাম্মদ রুহুল আমিন । রাউজান রাবার বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের থাকার বাসভবন গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হযে পড়েছে । রাউজান রাবার বাগানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের থাকার বাসভবন গুলোর দরজা জানালা বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসন আমলে সন্ত্রাসীরা খুলে নিয়ে যায় । কিছু সংখ্যক বাসভবন মেরামত করে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ও তাদের পরিবার পরিজন বসবাস করলে ও অনুপযোগী হয়ে পড়া বাসভবন পুনঃনিমান করা হচ্ছেনা । এ ব্যাপারে রাউজান রাবার বাগানের ম্যানেজার মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, কিছু বরাদ্ব পেয়েছি তা দিয়ে আনসার ব্যারাক ও দুটি কোয়াটার মেরামত করার কাজ করছি । পরিবেশের জন্য সহায়ক রাবার বাগানের রাবার থেকে রাবার সামগ্রী তৈয়ার করা ছাড়া ও জীবন চক্র হারানো রাবার গাছ প্রক্রিয়াজাত করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট., পার্বত্যজেলার কাপ্তাইতে বন শিল্প উন্নয়ন কর্পেরেশের কারখানায় উন্নত মানের ফার্নিসার তৈয়ার করা হয় । রাবার গাছের তৈয়ারী বিভিন্ন ধরনের ফার্নিসার বাজারে চাহিদা রয়েছে । দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাবার বাগান অথ্যন্ত সহায়ক হিসাবে কাজ করছে ।
রাউজান রাবার বাগানের রাবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন