বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২৪ যথাযথ মর্যাদায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উদ্যাপিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ফজরের নামাজের পর চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় মসজিদসমূহে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত এবং দুপুর ১২ টায় চবি কেন্দ্রীয় মন্দিরে গীতাপাঠ ও জাতির পিতার আত্মার চিরশান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। সকাল থেকে বিশ^বিদ্যালয় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর, ১নং গেইট ‘স্মরণ’ চত্বর, ২নং গেইট ও বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী ৭ মার্চ এর ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়। বেলা ১১:৩০ টায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও নবনিযুক্ত মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) মোহাম্মদ হোসেন।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, রাজনীতির মহাকবি, মহাকালের মহানায়ক, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ ’৭৫ এ নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যবর্গ, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী ত্রিশলক্ষ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া-জননী-কন্যার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। মাননীয় উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বজ্রকন্ঠের ভাষণ দেশ ছাড়িয়ে বিশ^বাসীর মন জয় করেছে; যা ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো কর্তৃক ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কালজয়ী এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে অদম্য সাহস ও শক্তি যুগিয়ে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহায্য করেছে; যার ফলশ্রুতিতে অর্জিত হয়েছে এ দেশের স্বাধীনতা।”
চবি প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২৪ এর কর্মসূচিতে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বজ্রকন্ঠের ভাষণ দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ববাসীর মন জয় করেছে
সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন