চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার কমপক্ষে ১০টি আউটপোস্টে বৃহস্পতিবার সকালে হামলা চালিয়েছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মি (কেআইএ)। এ সময় একের পর এক হামলা চালাতে থাকে তারা। হামলা হয়েছে কাচিন রাজ্যের লাইজা শহরে সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের কাছে। সেখানে অব্যাহতভাবে লড়াই চলছে। কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাওয়া বু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্য ইরাবতীকে বলেছেন, ১০টি সামরিক ক্যাম্প দখল করে নেয়ার পর জাতিগত কেআইএ লাইজার কাছে একটি পাহাড়ের চূড়ায় সামরিক ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে। রাজ্যটির রাজধানী মিইটকিইনা। এই শহর এবং ভামো শহরের মধ্যবর্তী এলাকার সড়কে এসব আউটপোস্টে হামলা চালানো হয়েছে। চীন সীমান্তের কাছে মিইটকিইনা এবং ভামো শহরের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত লাজিয়া। ১২০ মাইল পথে সামরিক কৌশলগত ঘাঁটিগুলোতে সুরক্ষা দেয় এসব আউটপোস্ট। ভামোতে বিমানবন্দরের রানওয়েতে রকেটচালিত বোমা হামলা করেছে কাচিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং কেআইএর যোদ্ধারা।
একই সঙ্গে হামলা চালিয়েছে মিইটকিইনায় সামরিক জান্তার বিমান ঘাঁটিতে। সামরিক জান্তার এসব সড়ক ও সামরিক ঘাঁটি কৌশলগতভাবে অবস্থিত ভামো-মিইটকিইনা রোডে। বেসামরিক লোকজন ওই সড়ক ব্যবহার করতে পারেন না মাসের পর মাস। তাই কর্নেল নাওয়া বু বলেন, আমাদের ভূখণ্ডের নিরাপত্তা রক্ষা করাই আমাদের মিশনের প্রধান লক্ষ্য। ওদিকে বিদ্রোহীদের এই হামলার জবাবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই লিজিয়া শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে সেনাবাহিনী। এতে সেখানে তিনজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একটি শিশু আছে।